নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংক তাদের এক মূল্যায়নে জানিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক মাথাপিছু আয়ের চলমান উন্নতির ভিত্তিতে শ্রেণি বিন্যাসের মাধ্যমে এই মূল্যায়ন করেছে।
বিশ্বব্যাংক মধ্যম আয়ের দেশকে দুটি স্তরে ভাগ করে-নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ ও উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ।
বিশ্বব্যাংকের শ্রেণি বিন্যাস অনুযায়ী কোনো দেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪৫ ডলারের বেশি হলে সে দেশটির অবস্থান হবে নিম্ন মধ্যম আয় শ্রেণিতে।
আর কোনো দেশের মাথাপিছু আয় যদি চার হাজার ১২৫ ডলারের বেশি হয় তখন সে দেশটির অবস্থান হবে উচ্চ মধ্যম আয় শ্রেণিতে।
বাংলাদেশের বর্তমান মাথাপিছু আয় এক হাজার ৩০০ ডলারের উপরে। তাই নতুন অর্থবছরের শুরুর দিনেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছে বিশ্বব্যাংক।
মাথাপিছু আয় এক হাজার ৪৬ ডলার থেকে চার হাজার ১২৫ ডলার পর্যন্ত বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয় শ্রেণিতে থাকবে।মাথাপিছু আয় চার হাজার ১২৫ ডলারের চেয়ে বেশি হলে তখন অবস্থান হবে উচ্চ মধ্যম আয় শ্রেণিতে।
এদিন বাংলাদেশের পাশাপাশি মিয়ানমার, কেনিয়া ও তাজিকিস্তান মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।নতুন এ চারটি দেশসহ বর্তমানে বিশ্বে মধ্যম আয়ের দেশের সংখ্যা ৫১টি।
এদিকে একই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্যারাগুয়ে ও মঙ্গোলিয়া নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয় বলে জানানো হয়েছে।