বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই মাশরাফির নেতৃত্বে উত্থান ঘটে নতুন বাংলাদেশের। বিশ্বকাপেও যার ধারাবাহিকতা। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মত বাউন্সি উইকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল। খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর পাকিস্তানে হোয়াইটওয়াশ এবং ভারতকে সিরিজ হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এ দেশে খেলতে আসার আগে তাই বাংলাদেশকে নিয়ে বেশ সতর্ক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। বাংলাদেশের খেলার ওপর গভীর দৃষ্টি রেখে চলেছে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের প্রতিটি খেলা এবং উত্থানের প্রতিটি পর্ব তারা গভীর পর্যবেক্ষন করে আসছিল।
এ কারণেই, বুধবার মিরপুরো সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার টি২০ অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিস, অকপটে স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব। একই সঙ্গে এটাও বললেন, বিশ্বকাপ থেকেই তারা ভালো খেলে আসছে। আমার বিশ্বাস অচিরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে একটি বড় দল হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশকে এখন আর ছোট দল বলার সুযোগ নেই। তারা ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। উন্নতির এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা দল হতে তাদের খুব বেশি সময় লাগবে না।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিরিজগুলো দেখে তারা নিজেরাও বিস্মিত। মাশরাফিদের নিয়ে রীতিমত গবেষণায় বসে যেতে হয়েছে প্রোটিয়াদের। ফ্যাফ ডু প্লেসিস নিজেই বললেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। ভারতকে হারিয়েছে। সুতরাং বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে আমাদেরকে।
ভারতের বিপক্ষে চার পেসার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। বিষয়টাও ভাবাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে, ডু প্লেসিসের ধারনা, বাংলাদেশ আগের সিরিজে চার পেসার নিয়ে খেললেও, তাদের বিপক্ষে স্পিন অ্যাটাকেই দল সাজাবে।
কারণ, উপহমাদেশের কন্ডিশনে তাদের জন্য স্পিন বিশাল একটা চ্যালেঞ্জ। যদিও আইপিএলে খেলার কারণে বেশ কয়েকজন প্রোটিয়া ক্রিকেটারের এখানকার কন্ডিশন নিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলিটা বেশ ভালো। ডু প্লেসিস বলেন, সেই অভিজ্ঞতা টি২০তে সহযোগিতা করবে। অন্য কোন ফরম্যাটে নয়।
বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে কি তারা লক্ষ্য করেছে? জবাবে ডু প্লেসিস বলেন, বাংলাদেশের এই দলটিতে বেশ কয়েকজন তরুন প্রতিভা আছে। আসলে আমরা নির্দিষ্ট কাউকে লক্ষ্য করে নয়, পুরো দলটা নিয়েই কাজ করছি। কারণ, এই দলের যে কোন একজনই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
বাংলাদেশের তাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা কী? জবাবে ফ্যাফ ডু প্লেসিস বলেন, এখানকার কন্ডিশনই হচ্ছে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই কন্ডিশনের সঙ্গেই আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি।