রি-ব্র্যান্ডিং শুরু করল দেশের বৃহত্তম নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। নতুন ব্র্যান্ড ট্যাগলাইন (স্লোগান) ও নতুন লোগোর উন্মোচনের মাধ্যমে রোববার প্রতিষ্ঠানটি রি ব্র্যান্ডিং এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো।
গ্রাহকদের আরও বেশি সেবা, করপোরেট সুশাসন ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে রি-ব্র্যান্ডিং করল আইডিএলসি। এখন থেকে ‘ফাইন্যান্সিং হ্যাপিনেস’ এই নীতি নিয়ে গ্রাহকদের সেবা দেবে দেশের বৃহৎ এই নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে এ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হুসেইন আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড, সিকিউরিটি লিমিটেড এবং ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আইডিএলসি বিশ্বাস করে এই রি-ব্র্যান্ডি কার্যক্রম প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি, করপোরেট সুশাসন, ব্যবসায়িক নৈতিকতার প্রকাশ করবে। এর পাশাপাশি এই নতুন লোগো ও ট্যাগলাইন আইডিএলসির অভিনবত্বের পরিচায়ক হয়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘রি-ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিদের তুলনায় আমাদের ভিন্ন মাত্রার পরিচয় এনে দিবে।’
ছাইরঙা ট্যাগলাইনসহ ব্যতিক্রমী প্রতীক সংবলিত লোগো তৈরি করা হয়েছে লাল ও কালোর রঙের সম্বনয়ে। এটি গ্রুপের করপোরেট লোগো হবে।
এসময় আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসেইন বলেন, ‘সারা বিশ্বে গত ৫/৭ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা বাণিজ্য সবাই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়। আইডিএলসি সেই সঙ্গে চলতেই এই রি-ব্র্যান্ডি। ২৭ বছরের পুরনো প্রতিষ্ঠান। ভালো গ্রাহক সেবা ও আধুনিক সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের এই যাত্রা।’
তিনি আরো বলেন, গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আইডিএলসি নতুন নতুন সেবা নিয়ে আসছে। আগামী এপ্রিল থেকে নতুন পণ্য আসবে। পুঁজিবাজারের জন্য আসবে নতুন পণ্য।
সেলিম আর এফ হুসেইন বলেন, ‘বিগত তিন বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭২ শতাংশ। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারল্য সংকট থাকলেও আমাদের ছিলো না। আমাদের আমানত ও ঋণ দুটিই বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের ৩০টি শাখা। প্রতি বছর পাঁচ থেকে সাতটি শাখা খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে ১৭০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আমানত সংগ্রহ করা হবে ১৪০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকা।
ব্যবসায়িক পণ্যে বর্তমানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে আইডিএলসি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, অলাইন সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে। সারা দেশে শাখা নিয়ে যাওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘শুধু ব্যবসা নয়, নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাকে গুরুত্ব দেয় আইডিএলসি।’