বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেবে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে এই উদ্যোগকে বড় ধরনের সফলতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সাল থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে। শুধু তাই নয়, কিউবার ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ৪৫ বছর আগে কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিনরা।
তবে ২০১৪ সালে দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়। এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে কয়েকটি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। কিউবাও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে এগিয়ে আসছে।
দুই মাস আগে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো বৈঠক করেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে দুই দেশের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে মিলিত হন, যাকে ঐতিহাসিক বৈঠক বলা হচ্ছে।
১৯৭৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা কূটনৈতিক মিশন চালিয়ে আসছে। কিন্তু তা পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক কার্যক্রম নয়। শর্তের অধীনে মিশন পরিচালনায় সাহায্য করছে সুইজারল্যান্ড। কিন্তু এবার পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে দুই দেশ, যেখানে সুইজারল্যান্ডের সাহায্য লাগবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার হোয়াইট হাউসে দূতাবাস খোলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বারাক ওবামা। কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস খোলা হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ধারণা করা হচ্ছে, মধ্য জুলাই থেকে দূতাবাস খোলার কার্যক্রম শুরু হবে।