মহাপ্রলয় আসছেই, ধ্বংসের প্রহর গোনা শুরু

মহাপ্রলয় আসছেই, ধ্বংসের প্রহর গোনা শুরু

proloyমহাবিলুপ্তির পথে বিশ্ব! ধ্বংসলীলা সময়ের অপেক্ষা? গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, কয়েক কোটি বছর আগে এক অতিকায় গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল। শেই বিপর্যয়েই শেষ হয়ে গিয়েছিল ডাইনোসর-যুগ। খুব শিগগির সেরকমই এক ধ্বংসের প্রহর গুনছে বিশ্ব। সেই ভয়ঙ্কর মহাজাগতিক ‘আঘাত’-এ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে সমগ্র ব্রিটেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ শেষ হয়ে যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। হ্যাঁ, ব্রিটেনে আছড়ে পড়তে চলেছে এক অতিকায় গ্রহাণু। তার জেরেই ভয়াবহ সুনামির কবলে পড়বে ব্রিটেন। মৃত্যু আর ধ্বংসের সেই রূপ নাকি অকল্পনীয়। এমনই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

কয়েকটি গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁদের অনুমাণ, ওই গ্রহাণুগুলির মধ্যে একটি খুব তাড়াতাড়িই পৃথিবীতে পড়বে।

অতিকায় গ্রহাণুটি দ্রুত বেগে এগিয়ে আসছে ব্রিটেনের দিকে। যার জেরে ভয়াবহ সুনামি হবে সে দেশে। ধ্বংসলীলার সেই দিন হবে মারাত্মক।

তাঁরা একটি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, মাত্র ১৯ মিটার চওড়া একটি গ্রহাণুতেই রাশিয়ায় ১৫ হাজার মানুষ মারাত্মক জখম হয়েছিল। তাহলে একটি সম্পূর্ণ গ্রহাণুতে কী হতে পারে, তা ধারণার বাইরে। গোটা দেশটাই হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

সৌরজগতে এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার গ্রহাণুর সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে পৃথিবীর কাছাকাছি রয়েছে ৫০০টি। যেগুলো যে কোনও মুহূর্তে বিশ্বে আছড়ে পড়তে পারে। আশঙ্কা এখানেই শেষ নয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি ওই গ্রহাণু কোনও মহাসাগরে আছড়ে পড়ে, তাহলে পৃথিবীর একটি বড় অংশ সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যাবে। ধ্বংস হয়ে যাবে যাবতীয় সৃষ্টি।এর আগে সবচেয়ে বড় গ্রহাণুটি ১৯০৮ সালে পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছিল। সেই গ্রহাণুর শক্তি ছিল ১ হাজার পরমাণু বোমার সামিল।

সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির মহাকাশ গবেষক হগ লিউইসের কথায়, ‘হলিউডের বর্তমান প্রযুক্তির সৌজন্যে বিশ্ব দেখেছে মহাজাগতিক ধ্বংসলীলার রূপ। তবে এবার যেটা হবে, তা কিন্তু বাস্তব।’

আন্তর্জাতিক