বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবদেশে তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় ভারতকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার বিকেলে এ দুটি সংগঠনের সভাপতি বাংলানিউজকে তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ভারতের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে নিটশিল্পে (বুননশিল্প) নেতিবাচক প্রভাব দ্রুত কেটে যাবে।’
বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশের রফতানি আয়ের অন্যতম একটি খাত হচ্ছে নিটশিল্প। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সঙ্কটের কারণে এ শিল্পে গত কয়েক বছর ধরে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিটপণ্যের মূল কাঁচামাল সূতা তৈরি হয় তুলা থেকে। বাংলাদেশের মোট তুলার চাহিদার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ তুলা আনা হয় ভারত থেকে। এ অবস্থায় ভারতের তুলা রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত দীর্ঘায়িত থাকলে দেশের নিটশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা ছিল। ভারতের তুলা রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল বাংলাদেশের নিটশিল্পের জন্য বিরাট অশনি সঙ্কেত। তুলা আমদানি বন্ধ থাকলে নিটশিল্পের উৎপাদন ব্যয় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়াটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু এখন যেহেতু ভারত তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে সেহেতু সেটা নিটশিল্পের জন্য কিছুটা হয়তো সুখবর।’
সুতা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভারতের তুলা রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর কিছু কিছু ব্যবসায়ী ও টেক্সটাইল মিল কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে সুতার দাম বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু দেশের স্পিনিং কারখানাগুলোতে সুতা উৎপাদনের জন্য তিন মাসের পর্যাপ্ত তুলা মজুদ রয়েছে। এ কারণে গত সপ্তাহে তুলার দাম অল্প বেড়ে গেলেও শনিবার থেকে দাম কমতে শুরু করেছে।’
তবে ভারত তুলা রফতানি বন্ধের ব্যাপারে নেওয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করায় এখন দেশে তুলার আর কোনো সঙ্কট থাকবে না বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের সোমবার ভারত তুলা রফতানি নিষিদ্ধ করে সরকারি আদেশ জারির পর বাংলাদেশ ও চীন থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। ভারতের তুলা ব্যবসায়ীরাও এ ঘটনায় আপত্তি জানান।
উল্লেখ্য, ভারতের তুলা রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তের পর নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন কাউন্টের সুতার বাজার দর এক লাফে প্রতি পাউন্ডে ১০ টাকা বেড়ে যায়।