গ্রিক সংকটের প্রভাব ইউরোজোনের ওপর কতটা পড়েছে, তার একটা নজির দেখা গেল সোমবারে শেয়ারবাজারে বেশ বড় একটা পতনের মধ্য দিয়ে। ফ্রাংকফুর্ট আর প্যারিসের স্টক মার্কেটে মূল্যপতন হয়েছে প্রায় চার শতাংশের মতো। সেই সঙ্গে প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ইউরোর দামও কমে গেছে।
গ্রিসের ব্যাংকগুলো বন্ধ, এবং নির্দেশ জারি করা হয়েছে যেকোনো অর্থ বিদেশে পাঠানো যাবে না।
এটিএমগুলো দুপুরের আগে খোলা হচ্ছে না এবং কোনো ব্যাংক কার্ডে এক দিনে ৬০ ইউরোর বেশি তোলা যাবে না।
মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস আগামি রোববার যে গণভোটের কথা ঘোষণা করেছেন তার আগে পর্যন্ত ব্যাংকগুলো এভাবেই চলবে।
গ্রিসের ঘাড়ের ওপর যে হাজার হাজার কোটি ইউরোর ঋণ, তা পরিশোধে সহায়তার দেবার বিনিময়ে ঋণদাতারা যে শর্ত দিয়েছেন তা মেনে নেয়া হবে কি না, এর ওপরই এই গণভোট। প্রধানমন্ত্রী সিপাস গ্রিসের জনগণকে ‘না’ ভোট দেবার ডাক দিয়েছেন।
কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ ইয়ুংকার গ্রিসের জনগণকে ‘হ্যাঁ’ ভোট দেবার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি গ্রিস সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তাদেরকে সত্য কথা বলতে হবে।
যে চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি, তা নিয়ে গণভোট ডেকে দেয়ায় গ্রিক নেতাদের সমালোচনা করেছেন ইউরোপের অন্যান্য নেতারা।
ইউরোপের অর্থমন্ত্রীরা এবং আইএমএফ বলেছে, ওই গণভোটের পর পর্যন্ত এ প্রস্তাবটি টেবিলে থাকবে কি না তা-ও নিশ্চিত নয়।
ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গ্রিক ব্যাংকগুলোকে জরুরি অর্থ দেয়া বৃদ্ধি করবে না।
জার্মানীর ইইউ কমিশনার গুন্থার ওয়েটিংগার বলছেন, সমাধান এখনো সম্ভব।
ইউরোজোনে গ্রিস থাকতে পারে কি না, সে ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ন দিন আগামিকাল। মঙ্গলবারের মধ্যে গ্রিসকে আইএমএফের ঋণের কিস্তি হিসেবে ১৬০ কোটি ইউরো শোধ করতে হবে।
যদি গ্রিস তা দিতে না পারে, তাহলে তাদের ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাবার মতো অবস্থা তৈরি হবে। বিবিসি।