দেশে ১০ হাজার ৩১৩টি সরকারি মালিকানাধীন বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
এসব বাড়ির মধ্যে চার হাজার ৯৬২টি বিক্রয়যোগ্য এবং ১৩৮টি বাড়ি এর মধ্যে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় সংসদের সোমবারের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য দেন গণপূর্তমন্ত্রী।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ মাহজাবীন মোরশেদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান জানান, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ‘ক’ তালিকাভুক্ত পাঁচ হাজার ২৮টি এবং ‘খ’ তালিকাভুক্ত এক হাজার ৪৩৯টি বাড়ি রয়েছে।
এই দুই তালিকার বাড়ির মধ্যে চার হাজার ৭৮২টি বাড়ি বিক্রির এবং ২১৫টি সংরক্ষিত রাখার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে সরকারি মালিকানাধীন পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে ৬৬টি অবৈধ বসবাসকারীদের দখলে রয়েছে এবং ৯৯৯টি বাড়ি নিয়ে মামলা চলছে বলে জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
এছাড়া এক হাজার এক হাজার ৪৮৭টি বাড়ি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে বিক্রির জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চট্টগ্রামের ৩৫৩টি বাড়ির মধ্যে ১৭৪টি সংরক্ষিত এবং ১৭৯টি বিক্রয়যোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
রাজশাহীতে ২২৮টি বাড়ির মধ্যে ১৩৩টি বাড়ি বিক্রি করা হয়েছে এবং বাকি বাড়িগুলো ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
নাটোরের সাতটি বাড়ির মধ্যে একটি বাড়ি শহীদ পরিবারের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। দুটি বাড়ি নিয়ে মামলা চলছে এবং একটি বাড়ি বিক্রয়যোগ্য অবস্থায় রয়েছে।
লালমনিরহাটে ১০৮টি বাড়ির মধ্যে চারটি বাড়ি বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়াও চাপাইনবাবগঞ্জে ১৬টি, নওগাঁয় ৩০টি, পাবনায় ১২৩টি, সিরাজগঞ্জে ১৩টি, বগুড়ায় ২৮০টি, জয়পুরহাটে একটি, খুলনায় এক হাজার ৩৬৩টি, বাগেরহাটে একটি, যশোরে ৯২টি, কুষ্টিয়ায় ৫০৭টি, চুয়াডাঙ্গায় ২৭টি, কুমিল্লায় ৩টি, সিলেটে চারটি, রংপুরে ৪২টি, দিনাজপুরে ৩৭৮টি, নীলফামারীতে ২২৩টি, কুড়িগ্রামে ১৭টি, ঠাকুরগাঁওয়ে নয়টি এবং গাইবান্ধায় ২১টি সরকারি মালিকানাধীন পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে।
মানিকগঞ্জ, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুর, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, বান্দারবান, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং পঞ্চগড়ে সরকারি মালিকানাধীন কোনো পরিত্যক্ত বাড়ি নেই।