ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের স্থল সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত খসড়া চুক্তি দু’ দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান অমীমাংসিত ইস্যুগুলোকে সমাধানের পথে নিয়ে যাবে। এর ফলে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লোকসভার বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল বলেন, ভারত তার নিকটতম প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতার নীতি অনুসরণ করে আসছে। আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে প্রতিবেশীরা যেন নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, সেজন্য তাদের প্রতি ভারতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো বিস্তৃত করার মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার সকল জাতিকে উন্নত ও স্থিতিশীল হিসেবে দেখতে এবং তাদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করতে চাই।’
তিনি প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গেও বিদ্যমান সকল অমীমাংসিত ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারে তার সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছার কথাও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি তার ভাষণে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যমান সকল সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে নিরসনে আন্তরিক।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটাতে চাই, যেন তারা তাদের মাটিতে থাকা সন্ত্রাসী ঘাটি ও দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
এছাড়া তিনি চীন প্রসঙ্গে তার বক্তব্যে বলেন, ‘চীনের সঙ্গে কৌশলগত ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উন্নয়ন ভারতের কাছে সবসময়ই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।’
তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের দ্রুত অগ্রগতি শুধু এই দু’ দেশের জন্যই নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ।
এছাড়া তিনি শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যাপারে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ব্যাপারও বক্তব্যে তুলে ধরেন।