তিনি একসময় চরমপন্থি সংগঠনে জড়িত থাকলেও পরে নিজের নামে দল গড়ে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ চালিয়ে আসছিলেন বলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়ের দাবি।
তিনি বলেন, রোববার রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার রাউতড়া গ্রামে পুলিশের সাথে ‘আলফু বাহিনীর’ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় চার পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুটি গুলি ও একটি রামদা উদ্ধার করে।
সুদর্শন রায়ের দাবি, “আলফু তার বাহিনী নিয়ে মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের মাগুরা সদর উপজেলার রাউতড়া কলেজিয়েট স্কুলের পাশে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে রাতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আলফু গুলিবিদ্ধ হন।”
পরে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে সহকারী পুলিশ সুপার জানান।
তিনি বলেন, “আলফু অস্ত্র মামলায় ৮ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তার বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে আরও অন্তত চারটি মামলা রয়েছে।”