প্রথম ম্যাচের পরেই অনেকেই তাকে ‘জাতীয় বীরের’ সাথে তুলনা করেছেন। অনেকেই তাকে বর্ণনা করেছেন ‘সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস’। বোলার মুস্তাফিজের জন্য কোন ‘উপাধি’ বা ‘বিশেষণ’ যুতসই হবে সেটি অনেকই এখনো ভাবছেন।
কারণ বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে যে জয় পেয়েছে সেটি আগে কখনো হয়নি।এর অন্যতম নায়ক ছিলেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
শুধু তাই নয়, ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে হ্যাট্রিকের সুযোগ যে কয়েকজন বোলারের ভাগ্যে তৈরি হয়েছিল, তাদের মধ্যে মুস্তাফিজ অন্যতম।
কিন্তু দুর্ভাগ্য মুস্তাফিজের। আজও পরপর দুই বলে ধোনি এবং প্যাটেলকে সাজঘরে ফেরত পাঠালেও হ্যাট্রিক করতে পারলে না তিনি।
একই সুযোগ প্রথম ম্যাচেও তৈরি হয়েছিল তার জন্য। মুস্তাফিজ ইতিহাস যেমন তৈরি করেছেন, তেমনি তার মনে খানিকটা বেদনা হয়তো থাকবে। সেটি হচ্ছে পরপর দুইবার হ্যাট্রিকের কাছাকাছি এসেও হ্যাট্রিক করতে না পারা ।
প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজ পাঁচ উইকেট নেবার পর ভারতীয় দল বলেছিল মুস্তাফিজের বিষয়ে তারা বিশেষ নজর দিচ্ছেন।
কিন্তু মুস্তাফিজকে নিয়ে ভারতের বিশ্লেষণ দ্বিতীয় ম্যাচে তেমন কোন কাজে লাগেনি বলেই মনে হচ্ছে।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো আতংকে রেখেছেন তিনি। খেলা শুরুর প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই মুস্তাফিজ সাজঘরে ফেরত পাঠান রোহিত শর্মাকে।
একের পর এক তিনি সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন ধোনি, রায়না, প্যাটেল ও অশ্বিনকে।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা যতবারই ক্রিজে বিপদজনক হয়ে উঠার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ততবারই মুস্তাফিজ তাদের সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন।
অনেকেই বলছেন ভারত যে এখন বাংলাদেশকে সমীহ করছেন তার বড় কারণ ১৯ বছর বয়সী এই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
দশ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ছয় উইকেট। এ পরিসংখ্যানই বলছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনকে ছ্ন্নিভিন্ন করে দিয়েছে মুস্তাফিজ।
বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট মুস্তাফিজের জন্য যেকোনো অঘটন ছিলনা সেটি তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে প্রমাণ করেছেন।
প্রথম ম্যাচের পর বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ‘মুস্তাফিজ বন্দনা’ কম হয়নি।
দ্বিতীয় ম্যাচেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সেই ধারা অব্যাহত আছে।
ফেসবুকে আসিফ বাশার লিখেছেন , “যে ছেলে বাংলাদেশের মরা উইকেটে ২ ম্যাচে ১০ উইকেট নিতে পারে, সে অস্ট্রেলিয়া – ইংল্যান্ডের মাঠে কি করবে, ভেবে দেখেছেন কি?”- বিবিসি