পিলখানায় বিজিবি (সাবেক বিডিআর) সদরদপ্তরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ সোমবার সকালে শুরু হয়েছে।
পুরান ঢাকার বকশীবাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগার ও নবকুমার ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এদিন সকাল পৌনে দশটায় এ সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
মামলার পঞ্চম সাক্ষী লে. কর্নেল আব্দুল মুকিব সরকারকে জেরা করছেন সিপাহী সুজাউল ইসলামের আইনজীবী। এর আগে তিনি গত ২ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলার বিবরণ দিয়ে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। সেদিন ডিএডি তৌহিদসহ পাঁচ আসামির পক্ষে জেরা শেষ হয়।
এ পর্যন্ত চার জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। তারা হলেন, মামলার বাদী লালবাগ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবজ্যোতি খীসা ও মামলার রেকর্ডিং অফিসার নিউমার্কেট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মো. কামাল উদ্দিন, লে. কর্নেল আবু তাসনীম ও কর্নেল শামসুল আলম চৌধুরী।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হক ছুটিতে থাকায় তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।
গত বছর ১২ জুলাই হত্যা মামলায় ও ২৭ জুলাই বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।
হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৮৫৬ জন। আসামিদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন এবং ২০ জন পলাতক, চারজন জামিনে আছেন।
মামলাটি তদন্তের সময়ই মারা যান বিডিআরের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) রহিম ও হাবিলদার শফিকুল ইসলাম এবং অভিযোগ শুনানি চলাকালে গত ১৫ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা যান আসামি হাবিলদার মতিউর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তরে সাবেক বিডিআরের জওয়ানরা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশের পরিদর্শক নবজ্যোতি খীসা প্রথমে লালবাগ থানায় এবং পরে নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন।