আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সুবাদে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে ইউনুস খানের অনেকবার দেখা হয়েছে। কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে কখনো একই হোটেলে পাশাপাশি থেকেছেন। দেখা হলে সৌজন্য কথাবার্তাও হয়েছে। রাহুল ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার কলঙ্কের ছিটেফোঁটা গায়ে মাখেননি। ভদ্রলোক বিশেষণটাই তার প্রাপ্য। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খানও তাই বললেন,‘খুবই ভদ্রলোক ছিলেন’।
এশিয়া কাপ খেলতে আসা পাকিস্তান দলের এই বর্ষিয়ান ক্রিকেটার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ বিকেলের অনুশীলন সেরে যখন সাজঘরের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন একজন রাহুলের অবসরের খবরটা দেন। তিনি তখনও জানতেন না ‘দ্যা ওয়াল’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন, ‘তুমি কি নিশ্চিত সে অবসরের ঘোষণা দিয়েছে?’
কয়েকদিন আগেই অবসর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রাহুল। কবে, কোথায় আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সংবাদ সম্মেলন করবেন তাও ঠিক হয়েছিলো। বেঙ্গালুরুতে সেই বিদায় ঘণ্টা বাজালেন। ১৯৯৬ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপরীতে খেলা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন রাহুল। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।
এই এশিয়া কাপেই যদি ইউনুসের সঙ্গে রাহুলের দেখা হয়, তখন নিশ্চয়ই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরবেন। তা তো করবেনই। আসলে তারা দু’জনই তো ভদ্রলোক। ভারতীয় সাংবাদিকরা পর্যন্ত পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারকে ভদ্রতা এবং সততার সনদ দিচ্ছেন। এরপর আর কথা থাকে না।
রাহুলের ক্যারিয়ারে ১৬৪টি টেস্ট খেলে ৩৬টি শতকসহ ১৩, ২৮৮ রান করেন। ৩৯ বছর বয়সী এ ভারতীয় ৩৮৮টি একদিনের ম্যাচ খেলে ১০, ৮৮৯ রান করেন। ১২টি শতকও আছে।