বন্ধ হচ্ছে না কোচিং বাণিজ্য

বন্ধ হচ্ছে না কোচিং বাণিজ্য

chochingসরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বন্ধ করা যাচ্ছে না কোচিং বাণিজ্য। বরং শিক্ষার্থী টানতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো। শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুল-কলেজগুলোতে পাঠদানের মান ভালো না হওয়ায় তারা কোচিং সেন্টারের দিকে ঝুঁকছেন।

অপরদিকে শিক্ষাবিদরা বলছেন, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা আনতে পারছেন না শিক্ষার্থী আর অভিভাবক।

“স্কুলে দেখা যাচ্ছে যে স্পোর্টস থাকে কালচারাল ফাংশন থাকতেছে এজন্য সময় কমে যায়, কিন্তু কোচিংয়ে এসময় পড়াশুনা করতে পারতেছি। ওখানে টিচাররা তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে পারছে বলে আমার সুবিধা হচ্ছে।” এভাবেই বলছিলেন রাজধানীর নামী-দামী একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্র।

তার কথাতেই বোঝা যায় বর্তমান শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারের উপর কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষার্থী টানতে কোচিং সেন্টারগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপন।

শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোচিং সেন্টারগুলো নিজেদের সেরা দাবি করে চেষ্টা করছে শিক্ষার্থী টানতে।

অভিভাবকরা জানালেন, ভালো পড়াশুনার আশায় এসব কোচিং সেন্টারে নিজেদের সন্তানকে পাঠালেও কোচিং সেন্টার নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তারা। অবশ্য শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের এ ধরনের অভিযোগ মানতে নারাজ শিক্ষকরা।

এ ব্যাপারে উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অধ্যাপক উম্মে সালেমা বেগম বলেন, “আমরা অভিভাবকদের অনুরোধ করছি যেন তাদের ছেলেমেয়েদের কোচিংয়ে ভর্তি না করে। কিন্তু তারা দিচ্ছেন। যে শিক্ষক যে শাখায় পড়ান। ঠিক সেই শিক্ষকের কাছেই পড়তে যাচ্ছেন কারণ তারা মনে করছেন, ওই শিক্ষকের কাছে পড়লে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে।”

শিক্ষাবিদরা বলছেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের মান আরও বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ মনে করেন, “আমরা পরীক্ষা পদ্ধতি এমনভাবে করতে পারি নাই যেন কোচিং সেন্টারে গেল বা না গেলে কিছুই আসে যায় না। আমাদের স্কুল-কলেজগুলোতে পড়া-লেখার মান আরও ভালো করতে হবে। যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক দিতে হবে।”

পাশাপাশি, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে অভিভাবকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনাও জরুরি বলে অভিমত শিক্ষাবিদদের। সূত্র: সময় টিভি।

অন্যান্য বাংলাদেশ