ভারতের মুম্বাইতে বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ জনে। গুরুতর অসুস্থ ৩১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফোড়নবিস এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে মুম্বাই শহরতলীর মালওয়ানী এলাকার কিছু মানুষ দেশী মদ কিনে খেয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাদের বমি, পেটে ব্যাথা, চোখ জ্বালা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিনই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সারা দিনে হাসপাতালে মারা যান আরো ১৩ জন। আর শুক্রবার মারা যান আরও ৮ জন। বাকি ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে আজ শনিবার।
এ ঘটনায় মালওয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকাশ পাটিলসহ ৮ পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষাক্ত মদ খেয়ে মৃতের ঘটনার তদন্তে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলেন, রাজু ল্যাংড়া ওরফে রাজু, হনুমন্তা, ডোনাল্ড রবার্ট প্যাটেল, গোপাল হারটে, ফ্রান্সিস ডিমেলো এবং সেলিম মেহবুব শেখ। এদের বিরুদ্ধে মালওয়ানী লক্ষ্মীনগর এলাকায় ভেজাল মদ বিক্রি করার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, এখন পুলিশের যে দ্রুত তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, এটা যদি প্রথম থেকে দেখা যেত তাহলে আজকের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। তাদের অভিযোগ, এই এলাকায় অবৈধ ভাটির মদ কোল্ডড্রিঙ্কসের মতো পানের দোকানে এবং অন্যত্র পাওয়া যায়। অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
মুম্বাইতে এ নিয়ে দু’বার ভেজাল মদ খেয়ে এত বেশী সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হল। এর আগে মুম্বাইতে ২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ভেজাল বা বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ খেয়ে মাঝেমধ্যেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ঘরে তৈরি বিষাক্ত মদপান করার পর উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে উত্তর প্রদেশে ঘরে তৈরি বিষাক্ত মদ পান করে ৩৬ জনের বেশি মানুষ মারা যান।