পরের প্রজন্মের চোখের সামনেই ধ্বংস হবে পৃথিবী

পরের প্রজন্মের চোখের সামনেই ধ্বংস হবে পৃথিবী

worldযে হারে দূষণ এবং গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্মের চোখের সামনেই ধ্বংস হবে পৃথিবী। এই শতাব্দীর শেষেই সেই দিন ঘনিয়ে আসছে। এমন ভয়ানক তথ্যই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

গড় তাপমাত্রা অতিরিক্ত হারে বাড়ার জন্যই পৃথিবী মানুষের বাসযোগ্য থাকবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রায় বছর পাঁচেক আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভূ-বিজ্ঞানী ড. ফেনার। তিনি বলেছিলেন, ‘আর এক শতকের মধ্যেই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হবে মানুষ।’ তিনি মারা গিয়েছেন বেশ কিছু দিন আগে। তবে আঁর করা ভবিষ্যদ্বাণীই যে সত্যি হতে চলেছে তেমন আশঙ্কাই করছেন এখনকার বিজ্ঞানীরা।

বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ভয়ানক হারে কমবে, বলছে নাসার চিত্র। বাড়বে বন্যা, তাপমাত্রা। মিলবে না খাওয়ার পানি। মাত্র এক শকতকেই হবে এমনটা।

এ মাসের গোড়ার দিকে জার্মানিতে জি-৭ এর বৈঠকের প্রধান বিশয়বস্তুই ছিল বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবম বিজ্ঞানীরা এই বৈঠকে গড় তাপমাত্রা কমানোর কোনও নির্দিষ্ট উপায়ের সন্ধান দিতে পারেননি। ২০৩০-এর মধ্যে বিশ্বে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা হবে তার যোগান দিতেই যে পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহৃত হবে, আর তা থেকেযে গ্যাস বাযুমণ্ডলে মিশবে, শুধুমাত্র তাতেই চলতি শতকের শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়িয়ে দেবে। এটা ধ্বংসের কারণ হিসাবে যথেষ্ট। বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন ২১০০ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ৫ জিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে।

কী হবে এতে? বৈজ্ঞানিকরা জানাচ্ছেন, ২ ডিগ্রি তাপমাত্র বাড়লেই পৃথিবীর জলস্তর এক মিটার পর্যন্ত বেড়ে যাবে। অর্থাত্ সমান্য বন্যায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল চলে যাবে জলের নীচে। যদি ৫ ডিগ্রি বাড়ে, তবে? উত্তরটা খুবই সোজা। শুধু মানুষ নয়, বহু প্রজাতির প্রাণীর অস্তিত্ব শেষ হয়ে যেতে বসেছে এই শতকেই।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি