খালেদা জিয়া ঘোষিত ১২ মার্চের ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় নোয়াখালীর ৭ উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর প্রায় ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাত ও শুক্রবার সকালে তাদের আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ জন, কবিরহাট ৫, সোনাইমুড়ি ৩, চাটখিল ৪, বেগমগঞ্জে ৮, কোম্পানীগঞ্জ ৩ ও সুবর্ণচরের ৪ জন।
সুধারাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ১৩ জনের আটকের কথা স্বীকার করেন।
এদের মধ্যে সদর উপজেলায় মাইজদী শহর বিএনপির দফতর সম্পাদক আবু হানিফ, শহর যুবদল যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ হোসেন, শহর যুবদল সদস্য জহির, সোহেল, সবুজ, দিদার, রাজন, বিএনপি কর্মী ইউছুফ, ৩ নম্বর নোয়ান্নই ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি ছালাউদ্দিন ভূঁইয়া রয়েছেন।
বাকি ৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আটকের সংখ্যা দিলেও নাম দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা বিএনপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আলহাজ মো. শাহজাহান বলেন, ‘ সরকার ১২ মার্চ ৪ দলের ঢাকায় মহা-সমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা যোগ দিতে না পারে সেজন্য অন্যায়ভাবে নেতাকর্মীদের আটক ও হয়রানি করছে। ’
তিনি এ আটককে ঘৃণ্য কাজ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানান। একইসঙ্গে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার হারন-উর-রশিদ হাজারী নেতাকর্মীদের আটকের সত্যতা স্বীকার করে জানান, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও ১২ মার্চের কর্মসূচি বানচাল করতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে ও কর্মসূচি নির্বিঘ্ন করতে তাদের আটক করা হয়েছে।