আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যারা এ নিয়ে কথা বলেন তাদের অনুরোধ করবো সংবিধান পড়ে দেখার জন্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিশনে মানিকগঞ্জ সমিতির (ঢাকা) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭২-এর সংবিধান ছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধান। যেটি সারাবিশ্বের কাছেই প্রশংসিত হয়েছিলো। আমাদের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার জন্য সেই সংবিধানকে কাটাছেড়া করা হয়েছে। তাই পঞ্চদশ সংধোনীর মাধ্যমে সংবিধানকে অনেকাংশে ৭২-এর সংবিধানে ফিরিয়ে এনেছি।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা একসঙ্গে চলতে পারে না। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলতি মেয়াদেই শেষ করতে চায় সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হলে তারা আবারও ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারে।
সে কারণেই সরকার এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আইনের শাসনে বিশ্বাসীরা একে সমর্থন দিতে পারেন না বলেও তিনি জানান।
মানিকগঞ্জ সমিতি ঢাকার সভাপতি মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, মানিকগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ এবিএম আনোয়ারুল হক, সাবেক সাংসদ মফিজুল হক খান কামাল ও মানিকগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান প্রমুখ।