ভারত কর্তৃক বাংলাদেশে তুলা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির পরিপন্থি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ‘ভারত কর্তৃক তুলা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে করণীয় নির্ধারণ’ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিং-এ বাণিজ্য সচিব এ মন্তব্য করেন।
গত সোমবার ভারত সরকার তুলা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কোনো বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে কোনো দেশ তার পণ্য রফতানির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনো রীতি-নীতির তোয়াক্ক না করে এভাবে ভারত সরকার কর্তৃক বারবার তুলা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পূর্বে এদেশের তুলা আমদানিকারকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল।’
ইতোমধ্যেই ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, ‘তুলা রফতানির নিষেধাজ্ঞা থেকে বাংলাদেশকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানাই।’ আর যদি অব্যাহতি প্রদান করা সম্ভব না হয় তাহলে যে পরিমাণ তুলা রফতানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সেগুলো ছাড় করার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিকে ভারত কর্তৃক তুলা রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় বস্ত্র শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বা সঙ্কটে না পড়ে সেজন্য তুলা আমদানির বিকল্প বাজার অনুসন্ধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে সচিব বলেন, ‘প্রয়োজনে উজবেকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।’
তিনি জানান, এপ্রিলের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল উজবেকিস্তান সফরের কথা রয়েছে। এ প্রতিনিধিদলে ব্যবসায়ীরাও থাকবেন। তখন এ বিষয়টি চূড়ান্ত করা হতে পারে। এছাড়া এ মাসের শেষ দিকে তিনি নিজে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। সেখানকার কটন কাউন্সিল ও তুলা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।