মিয়ানমারের ভোটার তালিকা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। তার আশঙ্কা, আসন্ন উপ-নির্বাচনের ব্যালট বাক্সে অনেক মৃত ভোটারের ভোট পড়বে।
গত বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন বেয়ার্ডের সঙ্গে এক বৈঠকে এই উদ্বেগের কথা জানান তিনি।
ভোটার তালিকায় বিপুল সংখ্যক মৃত মানুষের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সু চি। তিনি বলেন, ১ এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য বিপুল সংখ্যক মৃত মানুষকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন সু চি। তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টিও তাদের আপত্তির কথা এবং সমাধানের জন্য জোরেসোরে প্রচারণা চালাবে বলেও জানান তিনি।
কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ভোটার তালিকায় উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক অনিয়ম নিয়ে তিনিও উদ্বিগ্ন। তারপরও দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সিন ও তার সরকার সংস্কারের ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি রাখবেন বলে আশা করেছেন তিনি।
মিয়ানমার ইতোমধ্যে গণতান্ত্রিক উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক সংস্কার এনেছে। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং তা ভবিষ্যত সংস্কারকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জন বেয়ার্ড ইয়াঙ্গুনে সু চি ছাড়াও প্রেসিডেন্ট থেইন সিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মিয়ানমারে জন বেয়ার্ড এমন সময়ে সফর করলেন যার তিন মাস আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বর্তমান সরকারের সঙ্গে প্রস্তাবিত সংস্কারের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করে গেছেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার গত বেশ কয়েক দশক ধরে সামরিক শাসনের অধীনে থাকার পর গত বছর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সেনা সমর্থিত বেসামরিক সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর দীর্ঘদিন গৃহবন্দি নোবেল বিজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে মুক্তি পান। এর পর দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সরকার। তারই অংশ হিসেবে দেশটিতে আগামী ১ এপ্রিল উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন সু চি।