চীনের সাইবার দক্ষতাকে সামরিক হুমকি মানছে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সাইবার দক্ষতাকে সামরিক হুমকি মানছে যুক্তরাষ্ট্র

চীনের সাইবার যুদ্ধের দক্ষতাকে সম্ভাব্য সংঘাতে সামরিক বাহিনীর জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

চীন-মার্কিন অর্থনীতি ও নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের একটি কংগ্রেশনাল প্যানেলে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এমন ঝুঁকির কথা স্বীকার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনী তথ্য যুদ্ধের ওপর গুরুত্ব বাড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে চীন সাইবার যন্ত্রপাতির উন্নয়ন এবং বড়  টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জোরদার করছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

১৩৬ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি মার্কিন কংগ্রেসের জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রতিরক্ষা ঠিকাদার নরথ্রোপ গ্রুমান। তিনি বলেছেন, ‘চীনের বাণিজ্যিক ফার্মগুলো যাদের সঙ্গে আবার বিদেশি অংশীদারও রয়েছে- তারা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিকে (পিএলএ) উন্নত প্রযুক্তি ও গবেষণা সহায়তা দিচ্ছে।

পিএলএ এমন একটি ধারণা খুব দৃঢ়ভাবে পোষণ করছে, তথ্য বৈচিত্র এবং তথ্য ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণই আসলে যুদ্ধের সফলতা নির্ধারণ করবে।

চীনের ইলেক্ট্রনিক প্রতিরোধ অস্ত্র, নেটওয়ার্ক অ্যাটাক এবং যোগাযোগে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি যুক্তরাষ্ট্রের যোগাযোগ ও যুদ্ধাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় আঘাত হানতে সক্ষম।

প্রতিবেদনে আরো সতর্ক করা হয়েছে, সাইবার হামলার নেপথ্য নায়কদের চিহ্নিত করাটা কঠিন হওয়ায় যে কোনো হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সাড়া দিতেও দেরি হয়ে যাবে।

বলা হয়েছে, কম্পিউটার নেওয়ার্কে অভিযান চালানোই এখন পিএলএ’র প্রথম কৌশলগত লক্ষ্য। এর মাধ্যমে তারা তথ্য সংগ্রহ করে তারপর সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে।

এ ধরনের প্রতিবেদন কংগ্রেসে অবশ্য এর আগেও একবার প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, চীন মহাকাশ গবেষণার আড়ালে মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, চীন-মার্কিন অর্থনীতি ও নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশন গঠন করা হয় ২০০০ সালে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়গুলোর তাৎপর্য পর্যালোচনা করাই এই কমিশনের কাজ।

আন্তর্জাতিক