বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে আহ্বান করা ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার অপরাধে কেনিয়ায় প্রায় ২৫ হাজার নার্সকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে । এই সিদ্ধান্তের ফলে কেনিয়ার সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কেনিয়ার সরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত নার্সরা ১ মার্চ থেকে ধর্মঘট করে আসছে। সরকার বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস বাস্তবায়ন না করায় তারা এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
গত বছরও অনুরুপ এক ধর্মঘটের সময় সরকার নার্সদের বেতনবৃদ্ধিসহ হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অবকাঠামো উন্নত করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু সেই আশ্বাস এখনও বাস্তবায়িত না হওয়ায় কেনিয়ার সরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত প্রায় ২৫ হাজার নার্স একযোগে গত ১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যায়।
কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র আলফ্রেড মুতুয়া বৃহস্পতিবার বলেন, নার্সদের এই ধর্মঘটের কারণে হাসপাতালগুলোতে জনগণ ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগের ব্যাপারে সরকার আর নীরব থাকতে পারেনা উল্লেখ করে তিনি
ধর্মঘটী ২৫ হাজার নার্সকে সরকারি বেতনের খাতা থেকে অপসারিত করা হল বলে ঘোষণা দেন। এখন থেকে তারা আর সরকারি কর্মচারী নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অবশ্য কেনিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনাঙ নয়ঙ্গো বৃহস্পতিবার বলেন, বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা আবেদন করলে তাদেরকে পুনরায় নিয়োগের ব্যাপারে বিবেচনা করা হবে।
গত তিন দিন ধরে যারা তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিল তাদের নামে ইতিমধ্যেই বরখাস্তের চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ধর্মঘটী নার্সদের নেতৃত্ব এখনও সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
নার্সদের ঠিক কোন অংশকে বরখাস্ত করা হয়েছে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে সরকার যদি তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে তবে নিশ্চিত ভাবেই পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হবে।