উন্মুক্ত পদ্ধতির খনি প্রকল্পের প্রতিবাদে ইকুয়েডরের আদিবাসীরা দেশজুড়ে দু’সপ্তাহব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছে। এই পদ্ধতির খনি হলে তাদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে বলে আদিবাসীদের অভিযোগ।
সংবাদমাধ্যম জানায়, লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের আমাজন অঞ্চলে অবস্থিত একটি তামাখনি প্রকল্পের কারণে কয়েক হাজার আদিবাসী বাস্তুচ্যুত হবে। সম্প্রতি একটি চীনা কোম্পানি ওই স্থানে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনিজ তামা উত্তোলন প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। কোম্পানিটি সম্প্রতি ইকুয়েডর সরকারের সঙ্গে প্রায় ১৪০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করে। এই চুক্তির বিরুদ্ধে ইকুয়েডরজুড়ে আদিবাসীরা প্রতিবাদ জানায়।
ইকুয়েডরের আদিবাসীদের প্রধান সংগঠন ‘কোনায়’ এর প্রতিবাদ জানিয়ে দু’সপ্তাহব্যাপী প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, খনির কারণে পানি দূষিত হবে এবং আদিবাসীরা তাদের আবাস ও জীবিকা হারাবে।
তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া দাবি করেছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান হবে।
আদিবাসীদের পদযাত্রা কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবশ্য রাজধানী কিটোতে বর্তমান প্রেসিডেন্টের হাজার হাজার সমর্থক সমাবেশ করেছে। প্রেসিডেন্ট রাফায়েল আদিবাসীদের সংগঠন কোনায়’কে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তবে আদিবাসীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেশটির বিরোধী দল এবং ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনগুলোর সমর্থন পেয়েছে। ‘জনগণের জীবন ও মর্যাদার জন্য’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীরা ইকুয়েডরের আমাজন বনাঞ্চলীয় শহর এল পাংগুই শহরে বিক্ষোভ করে। এ সময় অনেকে ‘চীনা কোম্পানিকে ইকুয়েডর থেকে বের করে দাও’ লেখা সংবলিত ব্যানার বহন করে।
পদযাত্রার আয়োজকরা আশা করছেন, তাদের সঙ্গে আরো বহুলোক অংশ নেবে। লংমার্চের রুট রাজধানী কিটো থেকে এল পাংগুই পর্যন্ত প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার বিস্তৃত বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।