চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে টানা গোল করে মাত্র ২৩ বছর বয়সে ইতিহাসের পাতায় আলাদা একটা জায়গায় নাম লেখালেন ব্রাজিলীয় ফুটবলার নেইমার। এই কীর্তি আর কারও নেই! এই সাত গোলও আবার করেছেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফাইনাল পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশে। টানা পাঁচ ম্যাচে।
কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে প্রথম লেগে করেছিলেন ১ গোল, ফিরতি লেগে দুটি। সেমিতে বায়ার্নকে বিধ্বস্ত করা ম্যাচে প্রথম লেগে জোড়া গোল করে ফিরতি লেগটাকে অর্থহীন করে দিয়েছিলেন। ফিরতি লেগেও গোলদাতার তালিকায় নাম লেখাতে ভোলেননি। শনিবার ফাইনালে কিছুতেই গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। একটা গোল তো হয়েও হলো না হ্যান্ডবলের অপরাধে।
ম্যাচ প্রায় শেষ হয়ে যায় যায়। রেফারি মুখে বাঁশি নিয়েই দৌড়াচ্ছেন। শুধু খেলার গতির কারণে ফুরসত পাচ্ছেন না শেষ বাঁশি বাজানোর। সেই গতিতেই পাল্টা আক্রমণে বার্সা। যোগ করা সময়ে পেদ্রোকে বদলি হিসেবে নামিয়েছিলেন কোচ এনরিকে। যোগ করা সময়ে খেলোয়াড় নামানো মানে হলো কিছুটা সময় নষ্ট করা। এগিয়ে থাকা দলগুলো তা-ই করে, খুবই চেনা কৌশল।
মেসির থ্রু বল থেকে নেইমার, নেইমার থেকে পেদ্রো, পেদ্রো থেকে আবার নেইবার। এবার জিজি বুফোন আর পারলেন না। গোল! রেফারি গোলের বাঁশি বাজালেন নাকি খেলা শেষের—ঠিক বোঝা গেল না। নেইমারও যেন এর থোড়াই কেয়ার করছেন। নেইমার ততক্ষণে জার্সি খুলে ফেলেছেন। নাঙা-আদুল গায়ের লিকলিকে শরীরটা বেরিয়ে এসেছে। নেইমার ট্র্যাকে দৌড়াচ্ছেন। এরপর হু হু করে কাঁদেন নেইমার।