এক ব্যর্থ উদ্ধার প্রচেষ্টায় নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র ব্যক্তিদের হাতে জিম্মি দুই পশ্চিমা নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ জানায় ,জিম্মিদের উদ্ধারে পরিচালিত নাইজেরীয়-ব্রিটিশ সামরিক অভিযানের সময় জিম্মিকারীরা তাদের হত্যা করে।
নাইজেরিয়ান প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবারের এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানান। তবে অভিযানে অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানান তিনি। তিনি দাবি করেন অপহরণকারীরা নাইজেরিয়ার ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ বোকো হারামের সদস্য বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে নিহত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ নাগরিক ক্রিস ম্যাকম্যানুস এবং ইতালিয়ান নাগরিক ফ্রাংকো ল্যামোলিনারা বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। এই দুই ব্যক্তিকে গত মে’ ২০১১ তে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বিরনিন কেব্বি শহর থেকে অপহরণ করা হয়। তারা সেখানে একটি বাঁধ নির্মান প্রকল্পে কাজ করতেন।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন স্বীকার করেছেন জিম্মিদের উদ্ধারে পরিচালিত ব্রিটিশ ও নাইজেরীয় বাহিনীর যৌথ অভিযানের সময় এই দুই জিম্মি নিহত হন। তবে তিনি দাবি করেন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার পরই তিনি অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন।
অকুস্থলে পৌঁছার আগেই এই দুই জিম্মিকে অপহরণকারীরা হত্যা করে। তবে এই দুই জিম্মি ঠিক কখন মারা গেছেন তা নিশ্চিত করে কিছু বলেননি ক্যামেরন। তবে ক্যামেরন অপহরণকারীদের প্রকৃত পরিচয় পরিষ্কার করে উল্লেখ করেননি।
এদিকে নাইজেরিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র মৌরিতানিয়ার একটি সূত্র দাবি করেছে, অপহরণকারীরা আল কায়েদা অনুপ্রাণিত একটি নাইজেরিয়ান সশস্ত্র গ্রুপ।
ইতালীয় কর্তৃপক্ষও তাদের নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে । নিহত ইতালিয়ান জিম্মি নাইজেরিয়ায় ইতালিয়ান নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্তাবিলিনি ভিসিনোনিতে কর্মরত ছিলেন বলে জানায় তারা।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর দেশটির সরকারের তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সেখানকার অনেক এলাকাই বর্তমানে ইসলামপন্থী সশস্ত্র গ্রুপগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।