রূপগঞ্জে জনতা-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত ২০, আটক ১৭

রূপগঞ্জে জনতা-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত ২০, আটক ১৭

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির ৩ নেতা গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতা ও বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।

এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় জনতা ও বিএনপিকর্মীসহ ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন মামুন মিয়া, আল-আমিন মিয়া, আমজাত হোসেন, মোজাম্মেল হোসেন, আনিছুর রহমান, সোহেল মিয়া, আবু বক্কর, আল-আমিন, রাজু আহাম্মেদ, বিল্লাল হোসেন, মিজান হোসেন, রাতুল মিয়া, খলিল মিয়া ও স্বপন।

বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিএনপিকর্মীরা ডেমড়া-কালীগঞ্জ সড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। ফলে শত শত গাড়ী আটকা পড়ে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীসাধারণ।

এ সময় এলাকায় চরম আতংকের সৃষ্টি হলে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতা আবু মোঃ মাসুম, যুবদল নেতা আবু বক্কর মিন্টু ও বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও বিএনপিরকর্মীরা জড়ো হয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় রূপগঞ্জ থানা ঘেরাও করে।

এ সময় কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তা ওসির কাছে জানতে চান স্থানীয়রা।

ওসি জবাবে বলেন, তাদের নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে গ্রেফতার বিষয় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে জনতা ও কর্মীদের পুলিশ ধাওয়া করে। এসময় জনতা ও বিএনপিকর্মীরাও পুলিশকে ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

পরে ডেমড়া-কালীগঞ্জ সড়কে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে ঘণ্টাব্যপী অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ সময় পুলিশও তাদের ধাওয়া করে লাঠিচার্জ করে। এতে উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। শেষ মুহূর্তে পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়।

পরে পুলিশ ১৪ জনকে আটক করে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত মামলার আসামিদের গ্রেফতার করেছি। এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়।’

অন্যায়ভাবে তারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওসি দাবি করেন।

পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পুলিশ ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।

১২ মার্চ কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই পুলিশ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে বলে দাবি করেন বিএনপি নেতা।

বাংলাদেশ