‘জীবন দিতে প্রস্তুত আছি, তবুও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে হবে। আমরা বীর, একাত্তরে প্রমাণ করেছি জীবন দিতে ভয় পাই না। আমরা মাথা নত করতে জানি না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।’
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ১৪ দল আয়োজিত মানববন্ধনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন উল্লেখ করে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এখন বিরোধীদলের অবস্থা হয়েছে ভূতের মুখে রাম নাম বা ঠাকুর ঘরে কে রে? কলা আমি খাই না’র মতো। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার দাবিতে বিকেল সাড়ে ৩ টায় শুরু হওয়া দীর্ঘ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এমএ ছালাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক দানু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন আহমদ, উত্তর জেলার যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংসদ হাসিনা মান্নান, বেগম চেমন আরা তৈয়ব, ওয়ার্কার্স পার্টির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জাসদ মহানগর নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, সাম্যবাদী দলের জেলা আহ্বায়ক অমূল্য বড়–য়া, উত্তর জেলা ন্যাপ সভাপতি সন্তোষ চৌধুরী ও যুবলীগের মহানগর শিক্ষা সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন স্বপন প্রমুখ।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির প্রত্যাশা যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি এ সরকার নিশ্চিত করবে। যারা বিচারপ্রক্রিয়া বানচাল করতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি পাঁয়তারা করছে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।’
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা চালিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়ও বসিয়েছিলেন তিনি।’
মানববন্ধনে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুবলীগের সভাপতি চন্দন ধর, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি এমআর আজিম, সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট এমএ নাসের, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা স্বপন সেন, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক আশীষ ভৌমিক, যুবমৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক কায়সার আলমসহ ১৪ দলের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
এদিকে, একই দাবিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) সামনে অপর একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন।
মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘একাত্তরে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের ক্ষমা নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নস্যাৎ করার যেকোনো ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।