চলতি অর্থ বছরের ৭ মাসে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ভারতীয় আমদানি পণ্য থেকে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।
একই সময় ভারতে রপ্তানি হওয়া পণ্য থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমম্পিউটার প্রোগ্রামার শাখার কর্মকর্তা গোলাম কবীর জানান, চলতি অর্থবছরের (২০১১-১২) ৭ মাসে বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২২ হাজার ৫০৪টি ট্রাকে ১৯ লাখ ৩ হাজার ২৯৭ মে. টন বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়েছে।
এসব আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ সময় ১০ হাজার ৯৭৭ ট্রাকে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ১৯ লাখ ৩ হাজার ২৯৭ মে. টন পণ্য। এ থেকে ১ হাজার ২৪২ কোটি ২৫ লাখ টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের রপ্তানিকারক মেসার্স ট্রান্সপারেন্ট ইন্টার ন্যাশনালের মালিক আলমগীর কবীর জানান, ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে ট্রাক পার্কিং ও ওয়ারহাউজ (পণ্য গুদাম) তৈরি হলে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।
তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হচ্ছে, তার প্রায় সমপরিমাণ পণ্য এখন ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ ট্রাক বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে এলেও ওপারে যেতে পারে ২০০ ট্রাক। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে স্থান সঙ্কটের কারণে শতাধিক ট্রাক বেনাপোল বন্দরে অপেক্ষায় থাকে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাবসায়ী বলেছেন, ‘বেনাপোল কাস্টমস হাউসের দুর্বল প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারণে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যে কারণে আমদানি বাড়লেও রাজস্ব আয়ের পরিমাণ সে অনুপাতে বাড়ছে না’।
বেনাপোল স্থলবন্দরের একাধিক সূত্র জানায়, কাস্টমস কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চলছে রাজস্ব ফাঁকির মচ্ছব। রাজস্ব ফাঁকিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার অভিযোগে সম্প্রতি বেনাপোল বন্দরের চার কাস্টমস কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাতিল হয়েছে কয়েকটি সিঅ্যান্ডএফ লাইসেন্স। অভিযুক্ত কাস্টমস কর্মকর্তাদের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলাও হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।