চীনের উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্যও সুযোগ তৈরি করবে’

চীনের উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্যও সুযোগ তৈরি করবে’

china-pm
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে চীন বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের উন্নয়ন এশিয়া ও বিশ্বের জন্য হুমকি নয়, বরং সুযোগ বয়ে আনবে। বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে চীনের উন্নয়ন বাংলাদেশের জন্যও নতুন সুযোগ তৈরি করবে। যে কোনো বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সুসংহত হবে। পারস্পরিক স্বার্থ ও বিশ্বপরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই তা করতে হবে।
সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিশেষ বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক ইতিহাসের গভীর শিকড়ে প্রোথিত রয়েছে। সিল্করুটের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটেছে প্রাচীনকালেই। পারষ্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সেই সম্পর্ক আরো এগিয়েছে।
উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, শিল্প, বিজ্ঞান, ক্রীড়া, সংবাদ মাধ্যম, পর্যটনসহ নানাক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশ উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হবে।
লিও ইয়ানদং বলেন, চীন-বাংলাদেশের দুই হাজার বছরের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরো সুসংসহত করা উচিত। ‘দক্ষিণাঞ্চল রেশম পথ’ এবং ‘সামুদ্রিক রেশম পথ’ দিয়ে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় শুরু হয়। সিল্ক রুট যে সম্পর্কের বুনিয়াদ গড়ে তুলেছিল তা এগিয়ে নেয়ার বিকল্প নেই। দুই দেশের জন্যই এটি প্রমাণিত বাস্তবতা যে- আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী, আস্থা ও সহযোগিতাই আসল বিষয়। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ‘এক অঞ্চল এক পথ’ নীতির মাধ্যমে পূর্বের সিল্ক রুট পুনরায় কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক উন্নয়নকে বেগবান করতে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ফা হিয়েন, হিউয়েন সাং, ই চিং বৌদ্ধ ধর্মের বাণী নিয়ে এবং গবেষণার জন্য বাংলা পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মের বাণী নিয়ে বাংলার অতীশ দীপঙ্কর হিমালয় পর্বতমালা অতিক্রম করে চীন পৌঁছেছিলেন। চীনা জাতি এবং বাঙালি জাতি উভয়ে সুদীর্ঘকালে প্রচুর সাফল্য সৃষ্টি করেছে। এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক বোঝা এবং সুরক্ষার মাধ্যমে কাজে লাগানো উচিৎ। দুই দেশের উচিত মানব সম্পদের যৌথ উন্নয়ন করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’ -এর কথা উল্লেখ করে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এখন শুধু ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ নয়, বরং ‘সহযোগিতা ও কল্যাণের নীতিতে’ রূপ নিয়েছে। জনগণের আকাঙ্খাকে কেন্দ্র করে এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমেই দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এগিয়ে যায়।
অন্যান্য অর্থ বাণিজ্য আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ শীর্ষ খবর