বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্তচুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্তচুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

image_226007.montri shova ok newবাংলাদেশ-ভারত স্বাক্ষরিত স্থল সীমান্তচুক্তি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. মোশাররাফ হোসেন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ১৯৭৪ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যেটি মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি নামে পরিচিত। এরপর বাংলাদেশ সেটি সংসদে চূড়ান্ত করে। অতিসম্প্রতি ভারতও তাদের সংসদে এটি পাশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, সীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১১ সালে শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিংয়ের মধ্যে প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু তখন মূল চুক্তি ভারতের পার্লামেন্টে অনুমোদন না হওয়ায় বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ তখন ওই প্রটোকল অনুসমর্থনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। এখন যেহেতু ভারতের পার্লামেন্ট সীমানা চুক্তি অনুমোদন করেছে সেহেতু বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ তা অনুসমর্থন করল। কেবিনেট সচিব বলেন, সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের যেসব ছিটমহল ভারতে রয়েছে সেই ছিটমহলের লোকজন ইচ্ছা করলে ভারতেও থাকতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে বাংলাদেশেও আসতে পারেন। তদ্রুপ ভারতের যেসব ছিটমহল বাংলাদেশে রয়েছে যেসব ছিটমহলের বাসিন্দা ইচ্ছা করলে ভারতেও যেতে পারেন, আবার বাংলাদেশেও থাকেতে পারেন। তিনি বলেন, সীমান্তচুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব অপদখলীয় সম্পতি বিনিময় হবে। তিনবিঘা করিডোর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। বাংলাদেশ পাবে ১১১টি ছিটমহল। যার আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর। ভারত পাবে ৫১টি ছিটমহল, যার আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর। তিনি বলেন, চুক্তিটি পুনঃসমর্থনের জন্য মন্ত্রিসভায় আনা হয়েছিল। মন্ত্রিসভা এটি অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন ঢাকা সফরকালে চুক্তির দলিলপত্র বিনিময় করা হবে। অনুসমর্থন পাওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এলে প্রটোকলের একচেঞ্জ অব ইন্সট্রুমেন্ট হবে।

অন্যান্য শীর্ষ খবর