দেশটির মূলমন্ত্র-সিটিজেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড বা বিশ্ব নাগরিক। দেশের নাম এনক্লেভা, রাজধানীর নামও তাই। দেশটিতে যেতে পাসপোর্ট-ভিসা লাগে না। আর দুনিয়ার যেকোনো জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষার যে কেউই ওই দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় মালিকানার দাবিহীন এক টুকরো জমিতে সম্প্রতি এই দেশ প্রতিষ্ঠা করেন একদল পর্যটক। দুনিয়ার নবীনতম এই মাইক্রোনেশন বা ক্ষুদ্র দেশের খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। পোলিশ পর্যটক কামিল ভরোনা আর তাঁর বন্ধুরা স্লোভেনিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার পরই এই গল্পের শুরু। স্লোভেনিয়ার রাজধানী জাগরেবের ৫০ কিলোমিটার দূরের এক ছিমছাম গ্রাম মেটলিকি। সেখানকার বাসিন্দারা কামিলদের দলটিকে জানান, দানিয়ুব নদীর পাড় ঘেঁষে ছোট্ট এক টুকরো জমি এখনো খালি পড়ে আছে। অর্থাৎ কয়েক দফায় সীমান্ত নিয়ে তুলকালামের পরও স্লোভেনিয়া বা ক্রোয়েশিয়া কোনো দেশই ওই জমির মালিকানা দাবি করেনি। পর্যটকদের দলটি ভাবতে শুরু করেন, এখানেই নতুন দেশ প্রতিষ্ঠা করবেন তারা। যেই কথা সেই কাজ। এ বছরের এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে কামিল ভরোনা আর তাঁর দলবল মিলে দুনিয়ার কনিষ্ঠতম এই ‘মাইক্রোনেশন’ বা ‘ক্ষুদ্র দেশ’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। দেশের নাম রাখা হয় ‘এনক্লেভা’ বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় ‘ছিটমহল’। তবে, আনুষ্ঠানিক নাম ‘কিংডম অব এনক্লেভা’।