চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রায় সব দেশ থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। তবে এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত লিবিয়া ও ইরান ছাড়াও যুক্তরাজ্য, জার্মান, জাপান ও ইতালি থেকে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে। সবগুলো দেশ মিলে চলতি অর্থবছরের (২০১৪-১৫) জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৩ কোটি পাঁচ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এসময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ২৫৫ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
২০১৩-১৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৭২ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের হিসাব অনুযায়ী, কাতার, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ইতালী ও দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া অন্য সব দেশ থেকে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে রেমিট্যান্স কমেছে। এপ্রিলে কাতার থেকে দুই কোটি ৮৫ লাখ ডলার, জার্মানী থেকে ১৬ লাখ ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ১২ কোটি ৪৬ লাখ, ইতালী থেকে এক কোটি ৮২ লাখ এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৬৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অন্যদিকে আগের মাসের তুলনায় এপ্রিলে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমলেও মোট রেমিট্যান্সে ভূমিকা রাখা উল্লেখযোগ্য দেশ সৌদি আরব থেকে এসেছে ২৯ কোটি ৮৩ লাখ, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৩ কোটি ৮২ লাখ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯ কোটি ছয় লাখ, ওমান থেকে আট কোটি ১২ লাখ, বাহারাইন থেকে আট কোটি ৯৫ লাখ এবং যুক্তরাজ্য থেকে ছয় কোটি ৪৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কুয়েত থেকে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৮৮ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল ৯১ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। লিবিয়া থেকে এ ১০ মাসে এসেছে তিন কোটি ৭৬ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসা রেমিট্যান্সের প্রায় অর্ধেক। যুক্তরাজ্য থেকে আগের অর্থবছরের ১০ মাসে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার আসলেও এ অর্থবছরের এর পরিমাণ ৬৫ কোটি ১৬ লাখ ডলার। একইভাবে জার্মানি, জাপান ও ইরান থেকেও রেমিট্যান্স কমেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স প্রেরণকারী শীর্ষ দেশ সৌদি আরব থেকে (জুলাই-এপ্রিল) সময়ে ২৭৪ কোটি এক লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এদেশ থেকে ২৫৮ কোটি পাঁচ লাখ ডলার এসেছিল। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যেখানে ২৩৪ কোটি পাঁচ লাখ ডলার এসেছে আগের অর্থবছরের একইসময়ে ছিল ২২১ কোটি ২২ লাখ মার্কিন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ওমান ও বাহারাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশ থেকে আগের অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়েছে।