গত ১৪ মে তারিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ ৩১ বছর বয়সে পদার্পণ করলেন। এ লেখায় থাকছে তার কয়েকটি তথ্য।
১. প্রোগ্রামিং শুরু করেন অল্প বয়সে
মাত্র ১২ বছর বয়সেই জাকারবার্গ প্রোগ্রামিং শুরু করেন এবং এতে দক্ষতা অর্জন করেন। সে সময় অ্যাটারি বেসিক ব্যবহার করে একটি মেসেজিং প্রোগ্রাম তৈরি করেন তিনি। হাই স্কুলে থাকাকালীন তিনি মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘সাইন্যাপস’ তৈরি করেন।
২. অল্প সময় কাজ করেন
অন্য উদ্যোক্তাদের মতো দীর্ঘ সময় কাজ করেন না মার্ক জাকারবার্গ। তিনি সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ ঘণ্টা কাজ করেন, যা বহু প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতোই।
৩. নিয়োগে অদ্ভুত নিয়ম
ফেসবুকের বড় পদগুলোতে জাকারবার্গ সম্পূর্ণ তার নিজের নিয়ম অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ করেন। এ নিয়ম নিয়ে তার মতামতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
৪. প্রিয় উদ্ধৃতি
জাকারবার্গ তার প্রিয় কিছু উদ্ধৃতি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-
এক. সাহসীদের ভাগ্য ফেরে : ভার্গিল, অ্যাইনেইড এক্স.২৮৪
দুই. সব শিশুই শিল্পী। কিন্তু সমস্যা হলো আপনি যখন বড় হবেন তখন কিভাবে এ শিল্পীসত্ত্বাকে ধরে রাখা যায় : পাবলো পিকাসো
তিন. কোনো জিনিসকে যথাসম্ভব সহজ হিসেবে তৈরি কর কিন্তু সহজতম নয় : আলবার্ট আইনস্টাইন
৫. তরুণতম বিলিয়নেয়ার
মার্ক জাকারবার্গ ২৩ বছর বয়সে নিজের প্রচেষ্টায় বিলিয়নেয়ার হন, যা একটি বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত।
৬. বর্ণান্ধ
জাকারবার্গ অধিকাংশ রঙ চিনতে পারেন না। সবচেয়ে ভালোভাবে তিনি নীল রঙ দেখতে পান। আর এ রঙেই তিনি ফেসবুক সাজিয়েছেন।
৭. পছন্দ
ফেসবুকে মার্ক জাকারবার্গের যেসব পছন্দের কখা উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডস, ইন-এন-আউট বার্গার, ড্রাফট পাংক, লেডি গাগা, বিয়ন্সে ও কেটি পেরি।
৮. টিশার্ট ও হুডি
২০১১ সালে সিলিকন ভ্যালিতে সবচেয়ে বাজে পোশাকের ব্যক্তি হিসেবে মার্ক জাকারবার্গ নির্বাচিত হন। তিনি নিয়মিত ধূসর রঙের টি শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরেন। প্রতিদিন একই রঙের পোশাক পরার পেছনে তার বক্তব্য হচ্ছে, প্রতিদিন কোন কাপড়টি পরতে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝামেলা তিনি করতে চান না।
৯. তার কুকুরের বহু ভক্ত
মার্ক জাকারবার্গ শুধু ফেসবুকে জনপ্রিয় নন। বিস্ট নামে তার কুকুরটিরও দুই মিলিয়ন ভক্ত রয়েছে।