মাথাপিছু আয় বেড়ে ১৩১৪ ডলার

মাথাপিছু আয় বেড়ে ১৩১৪ ডলার

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩১৪ মার্কিন ডলারে। যা গত বছরে ছিল ১১৯০ ডলার। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীতে ৫৮তম।অপরদিকে ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ১৯ মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি (মোট দেশজ উত্পাদন) প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫১ ভাগ।  বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসেবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন শেষে পরিকল্পণামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, মোট জিডিপির মধ্যে কৃষি খাতের অবদান ১৫ দশমিক ৫৯ ভাগ, শিল্প খাতের অবদান ২৭ দশমিক ৯৮ ভাগ এবং সেবা খাতের অবদান ৫৬ দশমিক ৪২ ভাগ।গত বছর এ তিনটি খাতের অবদান ছিল যথাক্রমে কৃষিতে ১৬ দশমিক ১১ ভাগ, শিল্পে ২৭ দশমিক ৭১ ভাগ এবং সেবা খাতে ৫৬ দশমিক ১৮ ভাগ।এ বছর এ তিনটি খাতে প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে কৃষিতে ৩ দশমিক শুন্য ৪ ভাগ, শিল্পে ৯ দশমিক ৬০ ভাগ এবং সেবা খাতে ৫ দশমিক ৮৩ ভাগ গত বছর প্রবৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে কৃষিতে ৪ দশমিক ৩৭ ভাগ, শিল্পে ৮ দশমিক ১৪ ভাগ এবং সেবায় ৫ দশমিক ৬২ ভাগ।জিডিপির আকার চলতি মূল্যে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকায়। গতবছর ছিল ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এনইসি সভায় আরও জানানো হয় বর্তমানে দেশে জিডিপির তুলনায় বিনিয়োগ হার ২৮ দশমিক ৯৯ ভাগ।এরমধ্যে সরকারি বিনিয়োগ ৬ দশমিক ৬ ভাগ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ ২২ দশমিক ৩৯ ভাগ। গত বছর জিডিপির তুলনায় মোট বিনিয়োগ ছিল ২৮ দশমিক ৫৮ ভাগ।চলতি অর্থবছরের শুরুত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিলো ৭ দশমিক ৩ ভাগ। চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অনুমান হলো প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৬ ভাগ।অপরদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিপি) অনুমান হচ্ছে ৬ দশমিক ১ ভাগ। গত জানুযারি মাস থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল অবরোধে জিডিপির কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি হবে না বলে বিভিন্ন সময়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীরা আশংকা করেছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেছেন, আশা করা হয়েছিলো এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে। প্রথম ছয় মাস ঠিক ছিল। পরবর্তীতে জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির কারণে আমরা তা অর্জন করতে পারিনি।
অর্থ বাণিজ্য