‘বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ আইনে লিপিবদ্ধ আছে বাড়ির মালিকগণ ইচ্ছে করলেই যখন তখন বাড়ি ভাড়া বাড়াতে পারবেন না, অথচ তারা বিভিন্ন অজুহাতে যখন তখন ভাড়া বৃদ্ধি করেন। যা সাধারণ ভাড়াটিয়াদের জন্য খুবই কষ্টকর।
যার ফলে লাখ লাখ সাধারণ আয়ের ভাড়াটিয়াকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। এছাড়া বাড়ির মালিকের নির্মম আচরণ ভাড়াটিয়াদের জীবনেকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ভাড়াটিয়া কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত ‘প্রচলিত বাড়িভাড়া আইন-১৯৯১ বাস্তবায়নের দাবিতে’ এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বিগত ১০ মার্চ ২০১০ তারিখে ভাড়ার টাকায় কিস্তিতে ৫২ হাজার ৫০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাড়ির মালিকদের যখন তখন ভাড়া বৃদ্ধি করে বেআইন অমানবিক নির্যাতন চালায় তা নিরসন এবং প্রচলতি বাড়িভাড়া আইন অবিলম্বে কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা দীর্ঘ মেয়াদে সহনীয় কিস্তিতে ভাড়াটিয়াদের নামে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিতে হবে বলে মানববন্ধনে জোড় দাবি জানান।
সংগঠনের চেয়ারম্যান একেএম গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব হাবিবুল্লাহ মাহবুব, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মজিবুর রহমান তপন, যুগ্ম মহাসচিব মোল্লাহ মনিরুজ্জামান মিলু, আন্তর্জাতিক শক্তির শরীহ মো. মাসুম, অর্থসচিব শামীমা কিরণ প্রমুখ।