তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াইশ শিক্ষার্থীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার পরিকল্পনা আর তরুণদের নিয়ে স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সরকারই দেশের ছাত্রছাত্রীর হাতে ৩৩ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ শুরু করে। আজ থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ শুরু করল।”
রোববার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে এই ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় বলেন, “আমার স্বপ্ন আছে, এদেশে আইটি পার্ক, আইটি ওয়ার্ক ফোর্স গড়ে তোলার। মার্ক জাকারবার্গ ১৯ বছর বয়সে ফেইসবুক বানিয়েছিলেন। আমার আশা আছে, তোমাদের মধ্য থেকেও কেউ কেউ ভবিষ্যত ফেইসবুক বা গুগল আবিষ্কার করবে।”
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক্সিম ব্যাংকের সহযোগিতায় ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৫০০ ল্যাপটপ বিতরণ করা হবে।
এর অংশ হিসাবে এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াইশ শিক্ষার্থীকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, “এটা কেবল আরম্ভ। পাঁচশ ল্যাপটপ দিয়ে আমরা কেবল শুরু করছি।
“ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, অনেকে বলেছিল এদেশের মানুষ গরীব, তারা কম্পিউটার কিনবে কীভাবে, ইন্টারনেটই কিনবে কীভাবে। তখন আমরা বলেছিলাম, আওয়ামী লীগ সরকার এর ব্যবস্থা করবে।”
সাড়ে ৩ বছরে সরকার পাঁচ হাজার ‘ডিজিটাল সেন্টার’ তৈরি করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এখন দেশে এমন কোনো ইউনিয়ন নেই যেখানে কম্পিউটার ল্যাব বা ডিজিটাল সেন্টার নাই।
“আমরা দেশের ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফাইবার অপটিক কেবল দিয়ে সংযুক্ত করতে কাজ করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফ্রি ওয়াইফাই জোন করার কাজও দ্রুত গতিতে চলছে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “শুধু একটি বিষয় ভুলবে না… বছরের প্রথম দিন নতুন বই, এই ল্যাপটপ তোমাদের কে দিয়েছে? এটা সম্ভব হয়েছে শুধু আওয়ামী লীগ সরকার এর কারণে। আমরা আরও হাজার হাজার ল্যাপটপ তোমাদের মাঝে বিতরণ করব। তোমরা এ অবদান ভুলবে না।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের টেলিটকের পক্ষ থেকে একটি করে ইন্টারনেট মডেম ও কম্পিউটার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে একটি করে পেন ড্রাইভও দেওয়া হয়।
অন্যদের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।