তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ বঙ্গবন্ধু ও ৭ই মার্চ অস্বীকারকারী ও আগুনসন্ত্রাসের নেত্রী খালেদা জিয়াকে রেহাই দেয়া মানে গণতন্ত্রের মৃত্যুদন্ডে দস্তখত ও ইতিহাস পোড়ানোর লাইসেন্স দেয়া’।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম যেমন বঙ্গবন্ধুর সংগে পাকিস্তানী প্রেসিডেন্টের দ্বন্দ্ব নয়, একটি জাতির সংগে শোষকদের যুদ্ধ, তেমনি বর্তমান প্রেক্ষাপট শেখ হাসিনার সংগে খালেদা জিয়ার দ্বন্দ্ব নয়। এটি বাংলাদেশ ও গণতন্ত্রের সংগে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার-আগুনসন্ত্রাসীদের দোসর খালেদা জিয়ার যুদ্ধ’।
‘এ যুদ্ধে হারলে বাংলাদেশ, ইতিহাস ও গণতন্ত্র পুড়বে। কারণ যারা মানুষ পোড়ায়, তারা দেশ, ইতিহাস ও গণতন্ত্র পোড়ায়। সেকারণেই এ থেকে রক্ষা পেতে হলে আগুনসন্ত্রাসীদের ও তাদের নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে’, বলেন জাসদ সভাপতি।
শনিবার দুপুরে ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর জাসদ কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত ‘অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের স্বরূপ ও চলমান জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের রাজনৈতিক মূল্যায়ন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
ইন্দোনেশিয়ায় চার দিনের সফরে বৌদ্ধ-মুসলিম সম্মেলনে যোগদান ও সেদেশের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রুদিয়ান্তারার সাথে বৈঠক শেষে শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন হাসানুল হক ইনু।
’৫৪ এর নির্বচনে বাঙালিদের বিজয়, ‘৬৬ সালে আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র, ‘৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ের পরও অধিকারবঞ্চনা এবং ‘৭১ এর পঁচিশে মার্চ নিরীহ বাঙালিদের হত্যাযজ্ঞের পর ছাব্বিশে মার্চ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের যুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের বক্তৃতা শুধু একটি ভাষণ নয়, তৎকালীন পাকিস্তানের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং নিরস্ত্র বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের পথনির্দেশ। ৭ই মার্চ ও বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস হয়না’।
‘পাকিস্তানী, রাজাকার, জেনারেল জিয়া, বিদেশীচক্র এবং এরপর খালেদা জিয়া-জামাত চক্র ৭ই মার্চ ও বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু আগুন-সন্ত্রাসীদের মিথ্যাচারের আবর্জনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস ঢাকা পড়বে না। সর্বাত্মক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণ তা প্রতিহত করবে’, বলেন হাসানুল হক ইনু।
মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকতের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান ও শিরিন আখতার, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জাসদ নেতা করিম শিকদার, শফিউদ্দিন মোল্লা, শহিদুল হক, যুবজোট সভাপতি রোকনুজ্জামান, শ্রমিক জোট নেতা কাজী সিদ্দিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব প্রমূখ।