ঢাকায় সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন আরব নেতারা। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সৌদি আমির ও যুবরাজরা শোক বার্তা দিয়েছেন। আর সৌদি আরবের রাজ পরিবার দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।
মৃত কর্মকর্তার জর্ডানে বদলি হওয়ার কথা ছিল। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, এটা একটা খোলা যুদ্ধ যেখানে শত্রুরা পরিচিত। তবে তিনি আর কোন ব্যাখ্যা দেননি।
আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও টেরোরিস্ট শব্দ ব্যবহার করেছেন। অপরদিকে, আরব রাজতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল একটি বিবৃতিতে দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশের সরকারের কাছে।
ঢাকার দূতাবাসগুলো থেকে বুধবার এসব তথ্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। জর্ডানে বদলির অপেক্ষায় থাকা আলী’র পরিবার জানিয়েছে তার কোন শত্রু ছিল না। তবে তদন্তকারিরা সরকারের নীতি নির্ধারকদের জানিয়েছে খুনিরা পেশাদার, এর সঙ্গে ব্যাক্তিসম্পর্ক জড়িত।
ঢাকার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে মৃতকে কূটনীতিক বলা না হলেও আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়গুলো তাকে ডিপ্লোম্যাট (কূটনীতিক) বলেছেন। তারা শোকবার্তাগুলোতে টেরোরিস্ট শব্দ ব্যবহার করেছেন। কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাকে শোকবার্তা দিয়েছেন।
খালাফ আলীর ভাই খালিদ আলী বলেছে, চলতি মাসেই আলীর জর্ডানে বদলির কথা ছিলেন। ঢাকায় দুবছর দায়িত্ব পালন করার আগে আলী আজারবাইজানে সাত বছর চাকরি করেছেন। নয় সদস্যের পরিরারের বাবা মারা যাওয়ার পর খালাফই ছিল পরিবারের অভিবাবক। তার কারও সঙ্গে শত্রুতা থাকার কথা নয়।
খুনিরা পেশাদার, ব্যাক্তিস্বার্থ জড়িত: তদন্তকারি একটি সূত্র থেকে ঢাকার কূটনীতিকদের ধারনা দেয়া হয়েছে, খুনিরা পেশাদার। ব্যাক্তি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে পেশাদার খুনিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে গতকাল ঢাকায় মামলা হয়েছে। মামলায় পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যাক্তিদেরকে অভিযুক্ত করেছে।