আন্দোলনে যাচ্ছেন কর্মচারীরা : বেকায়দায় নতুন ইসি

আন্দোলনে যাচ্ছেন কর্মচারীরা : বেকায়দায় নতুন ইসি

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদোন্নতি নিয়ে অনেকটাই বেকায়দায় পড়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মাথায় এসে তারা এ বিপত্তিতে পড়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত ইসির তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা দিন দিন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। নতুন কমিশন পদোন্নতি না দিলে কাজকর্ম বাদ দিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার কথা ভাবছেন তারা।

অভিযোগ উঠেছে, কর্মরত এমএলএসএস, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরদের উচ্চমান সহকারী ও হিসাব সহকারী পদে পদোন্নতি না দিয়ে এসব পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে নতুন ইসি।

লাইব্রেরিয়ান পদটি বিলুপ্তিরও অভিযোগে ফুঁসে উঠছেন কর্মচারীরা। তাদের অভিযোগ, শূন্য পদটিতে সহকারী লাইব্রেরিয়ান ও  নৈশপ্রহরী পদ থেকে পদোন্নতি না দিয়ে বরং পদটিকেই বিলুপ্ত করেন সদ্যবিদায়ী ইসি। ফলে ইসি সচিবালয়ে কর্মরত নৈশপ্রহরীসহ অন্যরাও পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এদেরই কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত এমএলএসএস, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর ও নৈশপ্রহরীরা পদোন্নতির জন্য নতুন ইসির কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা পর্যায়ে বড় ধরনের পদোন্নতি দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় এসব পদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালায়, সকল তৃতীয় শ্রেণীর পদসমূহকে (উচ্চমান সহকারী, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, স্টোর কিপার, ক্যাটালগার, হিসাব সহকারী বা ভোটার্স এডুকেশন ইউনিট সহকারী) পদসমূহে ১ম শ্রেণীর উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু একমাত্র অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদটিকে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার পদের ফিডার পদে রাখা হয়নি। অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদটিকে ১ম শ্রেণীর ফিডার পদে রাখার বিষয়ে সাবেক সিইসি সম্মতি দিলেও কিছু কর্মকর্তার যোগসাজেশেই তা কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

একইভাবে অফিস-সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক পদের ফিডার পদ হিসেবে এমএলএসএস থেকে ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনী প্রক্রিয়ায় এমএলএসএস থেকে অফিস-সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা রেখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।

ইসিতে দেওয়া চিঠিতে কর্মরত এমএলএসএসরা বলেছেন, বর্তমানে অফিস সহকারী থেকে হিসাব সহকারী বা উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতির কোনো কোটা নেই। কারণ, যে পদগুলো খালি হবে সেগুলো সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ যোগ্য বা পূর্বে অতিরিক্ত নিয়োগ হওয়ায় পদগুলো সমন্বয় হবে। আগে অফিস-সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি সরাসরি নিয়োগ করা হয়েছে ৬০-৬৫টি পদে। তাই বর্তমানে অফিস-সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিকরা অন্যপদে পদোন্নতি না পেলে এমএলএসএসরাও পদোন্নতির সুযোগ পাবেন না।

বাংলাদেশ