কী এমন করেছিলেন আল-আমিন হোসেন, যে তাকে বহিষ্কারই করতে হবে? শুধু জানা গেছে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফিরিয়ে আনা হবে দেশে।
আল আমিনের বহিষ্কারাদেশের খবর প্রচার হয়ে পড়ার পর পরই জ্বল্পনা-কল্পনা শুরু হয়, কেন? কি দোষ করেছেন তিনি? তাহলে তার পরিবর্তে কাকে নেয়া হচ্ছে দলে?
তবে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আল আমিনের পরিবর্তে নেয়া হতে পারে আরেক মিডিয়াম পেসার শফিউল ইসলামকে। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের বাইরে যে দু’জনকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছিল তাদের মধ্যে রয়েছেন শফিউল ইসলাম। ছিলেন ৩০ জনের প্রাথমিক দলেও।
গত বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন শফিউল। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি দারুন ব্যাটিংও করেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে যে ম্যাচে জিতেছিল বাংলাদেশ, ওই ম্যাচে শেষ দিকে শফিউলের কারণেই এসেছিল দুর্দান্ত ওই জয়টি।
২০১০ সালে ওয়ানডে অভিষেক হওয়ার পর শফিউল খেলেছেন মোট ৫২টি ওয়ানডে। উইকেট নিয়েছেন ৫৮টি। সেরা ২১ রানে ৪ উইকেট এবং চার উইকেট নিয়েছেন মোট ৪ বার।
অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা দলীয় একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, আল আমিনের দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী অপরাধ ছিল অনেক। বেশকিছু অভিযোগ আনা হয় তার বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া চলাফেরা করছিলেন আল আমিন। সময় মতো হোটেলে না ফেরা, অধিক রাত করে ফেরা, ম্যানেজমেন্টের কথা না শোনা, সিনিয়রদের সঙ্গে অশোভন আচরণও রয়েছে অভিযোগগুলোর মধ্যে। আর সে কারণেই হয়তো তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেরা একাদশে ছিলেন না আল-আমিন হোসেন।