জয়ের পথে বাংলাদেশ

rubel18বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচেই জয়ের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেয়া ২৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগানিস্তান ৩৮ ওভারে ১৪০ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৭.২ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে আফগানিস্তান।

ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র দ্বিতীয় ওভারে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে ফেরান সাকিব। নাজিবউল্লাহ ১৭ রান করেন। পরের ওভারের প্রথম বলেই আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী মাশরাফির শিকার হন। নবী ৪৪ রান করেন।

এর আগে ৪২ রান করে রান আউট হয়েছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।আর নওরোজ মঙ্গলকে (২৭) শিকার করেন মাহমুদউল্লাহ। ডিপ স্কয়ার লেগে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন রুবেল হোসেন।

তিন রানে তিন উইকেট হারানো আফগানরা সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও নওরোজ মঙ্গলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল। ৫৯ রানের জুটি গড়েন তারা দুজন। ১৬ রানে নওরোজ মঙ্গল জীবন পেয়েছেন সাকিবের হাতে। তাসকিনের বলে আপার কাট খেলেন নওরোজ। থার্ড ম্যান থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচ তালুবন্দী করলেও তা ধরে রাখতে পারেননি সাকিব।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৭ রান করে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা খারাপ হয়নি। তামিম-বিজয়রা উইকেট ধরে খেলেছেন। আফগান পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে আক্রমণ করার সুযোগ কমই পেয়েছেন তারা। দলীয় ৪৭ রানে সাজঘরে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। মিরওয়াইস আশরাফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৪২ বলে ১৯ রান করেন তামিম। ৫ রান পর বিজয়ও আশরাফের শিকার হন। ৫৫ বলে ২৯ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি।

সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ তৃতীয় উইকেট জুটিতে রানের চাকা সচলের চেষ্টা করেছেন। তারা কিছুটা সফলও হয়েছেন। কিন্তু উইকেটে থিতু হতে না পারায় সেটি ধরে রাখতে পারেননি। তাদের ৫০ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় সৌম্য শাপুর জাদরানের বলে এলবিডব্লিউ হলে। সৌম্য ২৮ রান করেন। ৪৬ বলে ২৩ রান করে মাহমুদউল্লাহও শাপুরের দ্বিতীয় শিকার হন। ইনিংসের পরের গল্পটা বাংলাদেশের এগিয়ে চলার। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব ও মুশফিক ধীরে ধীরে চড়াও হন আফগান বোলারদের উপর। ইনিংস মেরামতের সঙ্গে দলকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন তারা। তাদের ব্যাটে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তোলে বাংলাদেশ।

এদিকে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪ হাজার রান পূর্ণ করেছেন সাকিব আল হাসান। বুধবার আফগানদের বিরুদ্ধে ৩৭তম ওভারের শেষ বলে চার মেরে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

সাকিব-মুশফিকের ১১৪ রানের জুটি ভেঙে যায় সাকিব হামিদ হাসানের বলে বোল্ড হলে। তিনি ৬৩ রান (৬চার, ১ছয়)  করেন। এই জুটি ভাঙার পর আবারও রানের গতি কমে যায়। ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমান (৩)। মুশফিক ৭১ রান (৬চার, ১ছয়) করে ফিরেন নবীর বলে। শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফির ৯ বলে তিন চারে ১৪ রানের ইনিংসে আড়াইশো পার হয় বাংলাদেশ। নয় নম্বরে নামা মুমিনুল (৩) রানআউট হন। ইনিংসের শেষ বলে তাসকিন বোল্ড হলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আফগানদের পক্ষে শাপুর জাদরান, আফতাব আলম, হামিদ হাসান, মিরওয়াইস আশরাফ ২টি করে উইকেট নেন।

খেলাধূলা