তিব্বতে চীনা শাসনের প্রতিবাদে আবারো গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতি দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। এবার গায়ে আগুন জ্বালিয়ে চীনা দখলদারির প্রতিবাদ জানালো এক তিব্বতি তরুণ। মানবাধিকার কর্মী ও তিব্বতি আন্দোলনকারীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চলতি সপ্তাহেই এটি হলো এ ধরনের তৃতীয় ঘটনার নজির।
১৮ বছর বয়সী দর্জি নামের এই তরুণ সিচুয়ান প্রদেশের অ্যাবা জেলার একটি সরকারি ভবনের কাছে নিজের শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেন বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।
চীনা শাসনের প্রতিবাদে তিব্বতিদের আত্মাহুতি দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাবা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি সংঘটিত হয়। মূলত তরুণ তিব্বতিরা চীনা দখলদারি ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতি দেওয়ার রাস্তা বেছে নিচ্ছে।
গত ২০১১ সালেই ২০ জন তিব্বতি নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে জানায় মানবাধিকারকর্মীরা।
আগুন জ্বালানোর আগে তিব্বতি তরুণ সরকারবিরোধী স্লোগান দেয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থলেই ওই তরুণের মৃত্যু ঘটে।
এদিকে ১৪ মার্চ তিব্বতের রাজধানী লাসায় সংঘটিত চীনবিরোধী বিক্ষোভের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে এ অঞ্চলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবাদ দমনের উদ্দেশ্যে চীন তিব্বতের বৌদ্ধমঠগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। মূলত এই বৌদ্ধমঠগুলোই চীনবিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনের কেন্দ্রভূমি বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।