এবার নকিয়াকে পেছনে ফেলে শীর্ষে গেল এইচপি। তবে নতুন কোনো পণ্য উদ্ভাবন করে নয়। বরং পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির কারণেই এ শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে এইচপি। গ্রিনপিস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পর পর তিন বছর পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতে শীর্ষ আসন ধরে রেখেছিল নকিয়া। তবে ‘গাইড টু গ্রিনার ইলেকট্রনিকস’ ফর্মূলাকে কিছুটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ায় এবারের গ্রিনপিসের বিবেচনায় শীর্ষ আসন হারিয়েছে নকিয়া। আর এইচপি এসেছে শীর্ষে।
পরিবেশবান্ধব (ইকো ফ্রেন্ডলি) পণ্য, শক্তিউৎপাদন, কার্বনের কম ব্যবহার এবং জলবায়ু আইন অনুসরণের বিচারে গ্রিনপিস শীর্ষ ১৫ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করেছে। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমেই নিচে নেমে এসেছে।
এবারের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে এসেছে ডেল। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ৪০ ভাগ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির অঙ্গীকারে ডেল পরিকল্পনা অনুসারেই কাজ করছে বলে গ্রিনপিস সূত্র জানিয়েছে।
আর একটানা তিন বছর শীর্ষ আসন ধরে রাখার পর নকিয়ার ঠাঁই হয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। আর এ তালিকায় এবারই প্রথম একেবারে শেষে স্থান পেয়েছে ব্ল্যাকবেরি।
নতুন ধারার বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতে কৌশলের বিষয়ে ব্ল্যাকবেরি সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানকে কোনো তথ্যই দেয়নি। এ কারণেই তালিকার নিচে স্থান পেয়েছে ব্ল্যাকবেরি।
গ্রিনপিসের মুখপাত্র টম ডুওয়াল জানান, বিশ্বের শীর্ষ ইলেকট্রনিকস পণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিপজ্জনক পণ্যনির্মাণ পদার্থ ব্যবহার প্রবণতা কমিয়ে আনতে নির্মাণনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই এটি নির্দেশনা আমলে নিচ্ছে না।
এ কারণে গ্রিনপিস ভবিষ্যতে আরও সোচ্চার এবং সক্রিয় উদ্যোগ নেবে। ভোক্তাদের স্বার্থ এবং পরিবেশ রক্ষায় গ্রিনপিস এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যতে প্রযুক্তিপণ্য বিকিকিনিতে গ্রিনপিসের মতামত গুরুত্বপূর্ণ রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত দিয়েছেন।