তিনবেলা খাবার জোটানোর জন্য আয় করেন না, বরং আয় করার জন্য খাবার খান কয়েকজন কোরিয়ান।
এরা পেশাদার খাদক। প্রতিদিন রাতের খাবার খাওয়ার বিনিময়ে আয় করেন শত শত ডলার। আর টাকা খরচ করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের খাওয়ার দৃশ্যটি দেখেন হাজার হাজার লোক।
পুরো আয়োজনটা থাকে রসালো। প্রথমে নেড়েচেড়ে খাবারগুলোর প্রতি দর্শকদের আকর্ষণ তৈরি করেন। এরপর বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে রসিয়ে রসিয়ে একেকটি খাবার মুখে তুলতে থাকেন। খাওয়ার সময় কখনো চকাম চকাম শব্দ করেন। আবার কখনো কুড়মুড়ে, মচমচে শব্দও তৈরি করেন দর্শক আকর্ষণের জন্য। দর্শকরাও এতে বিনোদিত হয়।
এর জন্য চ্যাঙ-হুইনের বিনিয়োগ কেবল ওয়েব ক্যাম আর উচ্চ ক্ষমতার মাইক্রোফোনটি। এ মাইক্রোফোনের মাধ্যমে তার খাবারের মচমচে ও চকাম চকাম শব্দগুলো আকর্ষণীয় হয়ে দর্শকদের কাছে যায়।
প্রতিদিন এ খাবারের দৃশ্য দেখেন ১০ হাজার লোক। এরা চ্যাঙ-হুইন এর কম্পিউটারে আগ্রহ প্রকাশ করে মেস্যাজ পাঠায়। অনেক সময় দর্শকদের ইচ্ছেমতো তিনি অঙ্গভঙ্গি করেন ও খাবার খান। আবার মাঝে মাঝে নারী দর্শকদের জন্য বিশেষ ধরনের অঙ্গভঙ্ঘিসহ বিশেষ খাবার প্রদর্শনীর আয়োজন করেন এই অনলাইন খাদক।
কিন্তু টাকা খরচ করে এ ধরনের প্রদর্শনী উপভোগ করে কতটা আনন্দ পান দর্শকেরা? এর মধ্যে কী আবেদন লুকিয়ে আছে?
তাহলে কি এটা এক ধরনের ‘ফুড পর্ণ’?