এক শিশু, ডিএনএ তিনজনের!

এক শিশু, ডিএনএ তিনজনের!

child3তিনজন মানুষের কাছ থেকে ডিএনএ নিয়ে শিশুর জন্ম দেওয়া যাবে কিনা এবিষয়ে আজ বৃটেনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটে সংসদ সদস্যরা অংশ নিতে যাচ্ছেন।

প্রাণঘাতী জেনেটিক রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে এধরনের কৌশলের কথা ভাবা হচ্ছে।

লক্ষ্য হচ্ছে মায়ের শরীরের কোনো অসুখ নিয়ে যাতে কোনো শিশু জন্ম গ্রহণ না করে।

এই আইনটি পাস হলে বৃটেনই হবে বিশ্বের প্রথম কোনো দেশ যেখানে তিনজনের ডিএনএ সমন্বয়ে একটি শিশুর জন্ম হতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, এই কৌশল থেকে বছরে ১৫০টির মতো দম্পতি লাভবান হতে পারেন।

এই প্রস্তাব বৃটেনে তীব্র নৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। চার্চের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা এই উদ্যোগ আটকে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

তবে হাউজ অফ কমন্সে যদি আজ এই প্রস্তাবটি পাস হয় তাহলে আগামী বছরের কোনো এক সময় এরকম ‘তিনজনের-শিশুর’ জন্ম হতে পারে।

বৃটেনে জেনেটিক রোগের কারণে অনেকেই তাদের সন্তানদের হারাচ্ছেন। এরকম একজন মা মাইটোকন্ড্রিয়াল অসুখের কারণে তার সাত সন্তানকেই হারিয়েছেন।

ওই সাত শিশুই এই রোগটি তাদের মায়ের জিন থেকে পেয়েছিল।

মাইটোকন্ড্রিয়া হচ্ছে দেহকোষের ভেতরে ক্ষুদ্র একটি কম্পার্টমেন্ট যা খাদ্য থেকে মানুষের শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় জ্বালানী তৈরি করে।

কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়ার কারণে মস্তিস্কজনিত রোগ, হৃদরোগ এবং অন্ধও হয়ে যেতে পারে। এই ত্রুটিপূর্ণ মাইটোকন্ড্রিয়া শুধুমাত্র মায়ের কাছ থেকেই আসে।

এই কৌশল হচ্ছে উন্নত ধরনের আই ভি এফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন যেখানে পিতামাতার ডিএনএর সাথে আরেকজন সুস্থ নারীর ডিএনএ থেকে সংগৃহীত মাইটোকন্ড্রিয়া একসাথে মেশানো হয়।

দীর্ঘ গবেষণার পর নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই কৌশলটি আবিষ্কার করেছেন।

বৃটিশ সরকার এই কৌশলটিকে নীতিগতভাবে সমর্থন দিচ্ছে কিন্তু প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিরা এর জোরালো বিরোধিতা করছেন।- বিবিসি

আন্তর্জাতিক