২০১৮ সালের পর দেশে দরিদ্র থাকবে না

২০১৮ সালের পর দেশে দরিদ্র থাকবে না

muhit28২০১৮ সালের মধ্যে দেশ থেকে দরিদ্রতা দূর করার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে সকলেই অংশগ্রহণ করছেন, কিন্তু তা সহ্য করতে পারছেন না শুধুমাত্র একজন নেত্রী খালেদা জিয়া ও কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বিএনপি নেত্রীর আদৌ কোনদিন সুমতি হবে কিনা, তা কেউ জানে না। তবে বিএনপির নেত্রীর কাছে অনুরোধ, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বাধ সাদবেন না, চলতে দিন। আর প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি, দেশের বিভিন্নস্থানে দুস্কর্মের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করুন। গতকাল সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ আলোচনায় আরও অংশ নেন সরকারি দলের এনামুল হক, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বর্তমান সরকার তথা জনগণ রচনা করেছে। কারণ জনগণের সহায়তা না থাকলে দেশকে এভাবে এগিয়ে নিতে পারতাম না। তিনি বলেন, আমাদের দেশ কোনদিনই ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ ছিল না, এখনও নই। বরং, বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনার দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ গরিব দেশ আর থাকবে না, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের পরে বাংলাদেশে আর দরিদ্র থাকবে না। দেশের উন্নয়ন সাধনে দেশের ১৬ কোটি জনগণ কাজ করে যাচ্ছে বলেই দরিদ্রতাকে দূর করতে যাচ্ছি। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একমাত্র ব্যতিক্রমী দেশ যেখানে দারিদ্র্য যে হারে কমছে, সেই একই গতিতে অতি দরিদ্রতার সংখ্যাও  হ্রাস পাচ্ছে। বিগত সময়ের অতি দরিদ্রের সংখ্যা সাড়ে ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে বর্তমানে মাত্র ৯ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা দারিদ্র্য যেমন দূর করছি, বৈষ্যমও তেমনি দূর করছি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের স্বার্থে কাজ করছে বলেই দেশের এত উন্নয়ন করতে পারছে। বিশ্বমন্দার মধ্যেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়িয়ে দরিদ্রতা দূর করতে পেরেছি। অনেকেই বুঝেন না, আমাদের বাংলাদেশ ২০০৮ সালের অবস্থায় নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ এখন ভিন্ন মালভূমিতে রয়েছে। দেশের উন্নয়নে সবাই অংশগ্রহণ করছেন, শুধুমাত্র একজন মহিলা বাধা দিচ্ছেন। তিনি একটি দলের নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই একজন মহিলা নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং কিছু সন্ত্রাসীরা তাতে বাধা দিচ্ছে। তারা দেশের অচিন্ত্যনীয় ক্ষতি ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, গত ৬ বছর ধরে যে প্রবৃদ্ধির বৃত্তে বন্দি হয়ে আছি, কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে এবার ৭ ভাগে উন্নীত করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নাশকতার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খালেদা জিয়ার সুমতি আদৌ হবে কিনা, তা তার দলের নেতারাও জানেন না। না হলে সকল দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী, এনামুল হক প্রমুখ।

অর্থ বাণিজ্য