লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট কোম্পানির প্রধান ব্র্যান্ডের এক নতুন অধ্যায় সূচনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্ড্রু কাওয়েল এ ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, নতুন নতুন আরো উন্নতমানের পণ্য ও মোড়ক, ড্রিম লার্জ, কমিউনিকেশন টিমের মাধ্যমে সুপার ক্রিটোর এ নতুন অধ্যায় সূচিত হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের লাফার্জ এবং স্পেনের সিমেন্টোর মলিনার্স’র যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত লাফার্জ-সুরমা সিমেন্ট ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে সফলতার সঙ্গে বাজারজাত করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল অ্যান্ড্রু কাওয়েল বলেন, ‘আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরির স্বপ্ন বাস্তবায়নে লাফার্জ-সুরমা বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাবে। আমাদের বিশ্বাস, আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার সাহায্যে সমাজ ও দেশেরও উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবো। তিনি বলেন,আমরা আমাদের গ্রাহকদের জন্য অভিনব সেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে এদেশের নির্মাণ সামগ্রী শিল্পে প্রধান ভূমিকা পালন করার আশা রাখছি।
কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কাজী খালিদ মাহমুদ, বলেন,সুপারক্রিটের নতুন যাত্রা অভিনবত্বের এক নবযুগের সূচনা করবে। তিনি আরো বলেন, এটা শুধু মোড়ক ও পণ্যের নতুন শুরু নয়, বরং এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন কমিউনিকেশন থিম “ড্রিম লার্জ”। বিশ্ব জুড়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক পরিচালন অভিজ্ঞতা এবং পদ্ধতি বাংলাদেশেও প্রয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।
ইংরেজি শব্দ ‘সুপিরিয়র’ এবং ‘কংক্রিট’ এর সমন্বয়ে নামটির উদ্ভব ।সুপারক্রিট বাংলাদেশের এক মাত্র পোর্টল্যান্ড লাইমস্টোন সিমেন্ট পণ্য।মেঘালয়ের নংট্রাই খনি উত্তরণের পর ১৭ কি:মি: দীর্ঘ কনভেয়ার বেল্টে করে সুনামগঞ্জের ছাতকে নিয়ে আসা হয় চুনাপাথর এবং সেখানে প্রস্তুত করা হয় সুপারক্রিট সিমেন্ট। এই সিমেন্ট মালোয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত এশিয়া টেকনিক্যাল সেন্টার দ্বারা সত্যায়িত।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এখন পর্যন্ত এটি একমাত্র আন্তঃসীমান্ত শিল্প উদ্যোগ। পুরো উদ্যোগের পিছনে প্রতিষ্ঠানটি ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক বিনিয়োগগুলোর মধ্যে একটি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন লাফার্জ-সুরমার কমিউনিকেশন ম্যানেজার তৌফিক ইমাম প্রমুখ।