দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
মূল্যসূচকের পতন দিয়েই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয়। তবে বেলা দুইটার পর ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সুদ মওকুফ ও ক্ষতিগ্রস্ত সব ধরনের বিনিয়োগকারীর জন্য আইপিওতে বিশেষ কোটা সংরক্ষণের খবরে সূচক বাড়তে থাকে। এতে দিন শেষে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দিয়েই লেনদেন শেষ হয়।
অবশ্য অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক গতকাল দিন শেষে কমেছে। পাশপাশি দুই শেয়ারবাজারেই লেনদেন বেশ কমে গেছে।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে শেষ পর্যন্ত কী ধরনের সরকারি ঘোষণা আসবে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এ কারণে অনেকেই আগে থেকে শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে বাজার পর্যবেক্ষণের কৌশল অবলম্বন করেন। এতে করে বাজারে বিনিয়োগকারীর সক্রিয় অংশগ্রহণ গতকাল কিছুটা কমে যায়। এরই প্রভাব লেনদেনের ওপর পড়েছে।
এ ছাড়া সকাল থেকে মূল্যসূচকের উত্থান-পতনের মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের দ্বিধার প্রতিফলন দেখা গেছে।
অন্যদিকে শেয়ারবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণার আগে গতকাল দুপুরে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৈঠক শেষে বেলা দুইটার পর তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য সুদ মওকুফ ও আইপিওতে কোটা সংরক্ষণের ঘোষণা দেন।
এর প্রভাবে দিন শেষে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় চার হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে। যদিও সূচকের পতন দিয়েই ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়।
ঢাকার বাজারে গতকাল ২৫৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৬টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২২টির দাম। দিন শেষে ডিএসইতে প্রায় ২৭৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের লেনদেন দিবসের চেয়ে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা কম।
এদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক রোববার দিন শেষে প্রায় ২২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১০৭ পয়েন্টে। চট্টগ্রামের বাজারে এ দিন ১৭৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৮৫টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩টির দাম। সিএসইতে গতকাল প্রায় ৩৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা কম।