৫০ হাজার টন গম ও সাড়ে ৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত

৫০ হাজার টন গম ও সাড়ে ৩ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত

৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের দরপ্রস্তাবসহ এ বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৩ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটি।

রোববার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুুল মুহিতের সভাপতিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নূরুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনের ‘পেট্রো চায়না ইন্টারন্যাশনাল (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড’ থেকে বিদ্যমান মেয়াদী চুক্তির আওতায় প্রতি ব্যারেল ৩ দশমিক ৫০ ডলার প্রিমিয়ামে ৮০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাস অয়েল (ডিজেল) ও ৭ দশমিক ২০ ডলার প্রিমিয়ামে ১৬ হাজার মেট্রিক টন মোগেজ (অকটেন), মালয়েশিয়ার ‘পেট্রোনাস ট্রেডিং কর্পোরেশন’ থেকে ৪০ দশমিক ৮০ ডলার প্রিমিয়ামে ২ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘এমিরেট্স ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি’ থেকে একই প্রিমিয়ামে ৬০ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হবে।

প্রতি মেট্রিক টন ৩০৬ দশমিক ৯৫ ডলার দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানিতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা। মেসার্স রোকেয়া অটোমেটিক ফ্লাওয়ার্স মিল্স লিমিটেড এ গম আমদানি করবে।

বৈঠকে ‘মাদানি অ্যাভিনিউ-এর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ (প্রগতি সরণী ইন্টারসেকশন থেকে বালু নদী পর্যন্ত) (সংশোধন)’ শীর্ষক প্রকল্পের রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ (লট-১ ও লট-২) কাজের দু’টি দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড দু’টি লটে এ কাজ করবে। দুই লটে মোট ব্যয় হবে ১০১ কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
এছাড়া আলোচ্যসূচির বাইরে বৈঠকে উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের দু’টি অংশে ১৬তলা বিশিষ্ট ৩১টি ভবন নির্মানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুটি অংশে বিভক্ত এ কাজের একটি অংশ রাজউক এবং অপরটি গণপূর্ত অধিদফতর বাস্তবায়ন করবে।

রাজউকের অংশে যৌথভাবে বিএফএল ও এইচসিএল দুই লটে (প্রতি লটে ১৬তলা বিশিষ্ট ২টি ভবন) চারটি ভবন নির্মাণের দরপত্র পেয়েছে। প্রতি লটে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মেসার্স এনাম টেডার্স একটি লটে দুটি ভবন নির্মাণ করবে। প্রতি লটে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এছাড়া এনা ডিডিজে কনস্ট্রাকশন পাঁচটি লটে ১০টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি লটে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

অন্যদিকে গণপূর্ত বিভাগের কাজে যৌথভাবে বিএফএল ও এইচসিএল দুই লটে চারটি ভবন নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি লটে ব্যয় হবে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এনা বিডিকে কনস্ট্রাকশন পাঁচটি লটে ১০টি ভবন নির্মাণের অনুমোদন করেছে। প্রতি লটের ব্যয় ৭২ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থ বাণিজ্য