লালমনিরহাট সীমান্তে রোববার টানা ৬ ঘণ্টা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত তিনবিঘা করিডোরের ভেতরে ভারতীয় কুচলিবাড়ী থানায় উভয় দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ে চুক্তি অনুযায়ী সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে পতাকাটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বৈঠকে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে চুক্তি হওয়া সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি, তিনবিঘা করিডোর দিয়ে যাতায়াতকারী পরিবহন চেকিংয়ের নামে হয়রানি বন্ধ, সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক ব্যক্তিদের জিরো লাইনে জয়েন্ট ইন্টারোগেশনের মাধ্যমে অপরাধী চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, মাদক চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত টহল জোরদার করার ব্যাপারে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে বাংলাদেশের ১০ সদস্য প্রতিনিধি দলের পক্ষে বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নেয়ামুল ইসলাম ফাতেমী ও ভারতীয় ৮ সদস্য প্রতিনিধি দলের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি অঞ্চলের বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) গজিন্দর সিং নেতৃত্ব দেন।
এছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের লালমনিরহাট-৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আসলাম হোসেন, রংপুর-৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিসুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৪৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদসহ সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কোচবিহার-৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্র্নেল রাজিব কুমার, কোচবিহার-১০৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বীরবল সিংসহ স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল নেয়ামুল ইসলাম ফাতেমী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনবিঘা করিডোর গেট দিয়ে গমনাগমন, যানবাহন ও সাধারণ লোকজনকে চেকিংয়ের নামে বিএসএফ আর হয়রানি করবে না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’